
পিলখানার ঘটনায় ভারতের স্বার্থ!
১২ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৫
শেয়ার করুন:
অযথা বিভ্রান্তিমূলক কথা না বলাই উচিৎ! দায়িত্বশীল পর্যায়ের লোকদের এ ধরণের বিভ্রান্তিকর তথ্য লেনদেন এ দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় । সবাই আঙুল উচিয়ে বলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশের মন্ত্রিরাও গাধামার্কা! কোনও দূরদর্শিতা নেই।.....আসল ঘটনা উদ্ধারে সবাইকে মনোযোগী হতে অনুরোধ করছি।আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমির জন্মলগ্ন থেকেই কিছু দুর্ভাগ্য একাত্ম হয়ে গেছে। ভারতের সহযোগিতায় আমরা স্বাধীন হয়েছি এর জন্য ভারতের প্রতি ছিল আমাদের সর্বদা নমনীয়-ইনফিরিওর অনুভূতি। আর ভারত যেহেতু জানে বাংলাদেশের এই স্বাধীনতার ভাগিদার তারা তাই এর সুফল ভোগে তারা নানাভাবে পায়তারা করছিল তখন থেকেই।বেশি আগের কথা আপনাদের বলে লাভ নেই। ১৯৮০ সালের মাঝামাঝির দিকে, যখন বাংলাদেশে ভারত ২টাকার ফেন্সিডিলের বোতল সাপ্লাই দিত। একসময় তারা আমাদের যুবসমাজকে গ্রাস করে ফেলল। তারপর আস্তে আস্তে ফেন্সিডিলের দাম বাড়াল। বিভিন্ন ড্রাগ-নেশাদ্রব্যে সয়লাব করে দিল বাংলাদেশের মার্কেট। এরকম বিভিন্ন সীমান্তবর্তী ক্রাইম চলছিল। যার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমশ: পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ছিল। বাংলাদেশের শাড়ীর যায়গায় চলে এলো ভারতীয় শাড়ী। এইতো সেদিনের কথা.... চারদলের ক্ষমতাগ্রহণের পর গিয়েছিলাম সাতক্ষীরা। সকালের ঘুম ভাঙলো এক মহিলার কর্কশ খেদোক্তিতে। সেই এলাকার এম.পির প্রতি তার চরম ক্ষোভ। চোরাচালানীর মাল ধরা পড়ে গেছে। এখন তার না খেয়ে থাকার অবস্থা। এতোদিন সরকার তাদের ভাতে হাত বসায়নি। তারা অনায়াসে ভারতের শাড়ী এনে বিক্রি করতে পারত। আর মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষ ২৫০টাকার বাংলাদেশী শাড়ীর বদলে ১২০টাকায় সুন্দর সুন্দর সব শাড়ী কিনতে পারতো। বিএনপি-জোট সরকার ক্ষমতায় এসে সীমানায় কড়াকড়ি শুরু করেছে, এখন অনেক চোরাকারবারীই বেকার হয়ে পড়ল।... আহারে!...লাইবেরিয়ার একটি মেইল পেয়েছি, তিনি লিখেছেন....২০০২ সালের আগে সেনাবাহিনীর অবসরে যাচ্ছেন এমন অফিসারদের পাঠানো হতো বিডিআর এ যারা কেবল প্রহর গুণতেন শেষ দিনগুলোর। তখন বিডিআর এর এক এক ডিএডির তিনচারটা করে বাড়ি থকত। এমনকি সিপাহী, নায়েক হাবিলদাররাও দেদার পয়সার মালিক হতেন, বাড়ি-গাড়ি করতেন। আমাদের এক প্রতিবেশী কাকা ছিলেন বিডিআর এ যার বেতন আমার বাবার দশভাগের একভাগ অথচ তার ঘরে নেই এমন কোনও বিলাস সামগ্রী অবশিষ্ট ছিল না। তাদের চলা ফেরার ঠাটবাট, আয়েস দেখে চমকে যেত অনেকে। কাকী একটু ধর্মপ্রিয় ছিলেন। প্রায়ই আমারে মায়ের কাছে এসে কাকার নামে নালিশ জানাতেন। ভাইকে বলেন লোকটাকে একটু বুঝয়ে বলতে, এতো পাপ আল্লাহ সহ্য করবে না। সবাই করে তাই সেও করে।....২০০২ এর পর দৃশ্যটা পরিবর্তন হয়ে গেলো। বিভিন্ন অপারেশনে সফল অবদান রেখেছেন এমন সৎ-সাহসী অফিসারদেরকে বিডি আর এ পুশ করা শুরু হলো। তখন থেকেই বন্ধ হতে থাকলো চোরাচালানী। ১০০ভাগ বন্ধ হয়েছে এমন দাবী করছি না। তবে অনেক অনেক কমে গিয়েছিল, প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ হয়ে গেলো ভারতের চোরাপথের কামাই। তখন থেকেই ভারত লেগে আছে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ধংসের পায়তারায়। ইয়াং এনার্জেটিক অফিসারদের বিডিআরএ পাঠানোর পর থেকে কোনও যুদ্ধেই বিএসফ জয়ীহতে পারেনি। বরং পূর্বের কিছু ছিটমহলও তারা পুনরুদ্ধার করলো। এমন কৃতিত্বে ভারতের বিএসএফ পড়ল চরম মর্মপীড়ায়। নানাভাবে তারা বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ বাড়াল। কিন্তু সেনাবাহিনীর তৎপরতায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। যদি সেনাবাহিনী দিয়ে বিডিআর পরিচালনা অব্যাহত থাকে তাহলে আর সীমান্তবর্তী অপরাধ ঘটানো, সীমানা দখল, আর সম্ভব নয় এটা তার বুঝে গিয়েছিল। এদিকে যেসব সিনিয়র অফিসারদের (ডিএডি) উপার্জন বন্ধ হয়ে গেলো তারা ব্যপারটিকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। দেশপ্রেমী সাধারণ সোলজারতদরকে এবং জুনিয়রদের কানে বাতাস লাগালেন যে আমরাতো সিপাই থাকতেই বাড়ি গাড়ি করে ফেলতে পারছি আর তোমরা? সারাজীবন চাকরি করেই মরবা, আর তোমাদের বস রা আর্মি থেকে এসে টাকার পাহাড় বানাচ্ছে.... শুরু হলো টুকরো টুকরো ক্ষোভ। সত্যিই বুঝি তাই। ওরা চোরাপথের টাকা দিয়ে আমাদের মতো চাকরি করে বাড়িগাড়ি করবে আর আমরা না খেয়ে মরবো?এভাবে বিডিআর এর মানসিকতা তৈরীর পেছনে ওদের উদ্দেশ্য ছিল যাতে বিডিআরদের নেতৃত্ব থেকে আমিূদের সরিয়ে ফেলা হয়। ওরা লুটপাট করে খেতে পারে।এর সত্যতা প্রমাণিত হয় পিলখানা কিলিং এ ভারতীয় কমান্ডোদের সাথে কয়েকজন ডিএডিও ছিল। যাদের উপড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেনাদের তৎপরতায়।তথ্য আরও আছে। যেদিন ঘটনাটি ঘটানো হয়,
১২ ই মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৫
শেয়ার করুন:
অযথা বিভ্রান্তিমূলক কথা না বলাই উচিৎ! দায়িত্বশীল পর্যায়ের লোকদের এ ধরণের বিভ্রান্তিকর তথ্য লেনদেন এ দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় । সবাই আঙুল উচিয়ে বলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশের মন্ত্রিরাও গাধামার্কা! কোনও দূরদর্শিতা নেই।.....আসল ঘটনা উদ্ধারে সবাইকে মনোযোগী হতে অনুরোধ করছি।আমাদের এই প্রিয় জন্মভূমির জন্মলগ্ন থেকেই কিছু দুর্ভাগ্য একাত্ম হয়ে গেছে। ভারতের সহযোগিতায় আমরা স্বাধীন হয়েছি এর জন্য ভারতের প্রতি ছিল আমাদের সর্বদা নমনীয়-ইনফিরিওর অনুভূতি। আর ভারত যেহেতু জানে বাংলাদেশের এই স্বাধীনতার ভাগিদার তারা তাই এর সুফল ভোগে তারা নানাভাবে পায়তারা করছিল তখন থেকেই।বেশি আগের কথা আপনাদের বলে লাভ নেই। ১৯৮০ সালের মাঝামাঝির দিকে, যখন বাংলাদেশে ভারত ২টাকার ফেন্সিডিলের বোতল সাপ্লাই দিত। একসময় তারা আমাদের যুবসমাজকে গ্রাস করে ফেলল। তারপর আস্তে আস্তে ফেন্সিডিলের দাম বাড়াল। বিভিন্ন ড্রাগ-নেশাদ্রব্যে সয়লাব করে দিল বাংলাদেশের মার্কেট। এরকম বিভিন্ন সীমান্তবর্তী ক্রাইম চলছিল। যার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমশ: পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ছিল। বাংলাদেশের শাড়ীর যায়গায় চলে এলো ভারতীয় শাড়ী। এইতো সেদিনের কথা.... চারদলের ক্ষমতাগ্রহণের পর গিয়েছিলাম সাতক্ষীরা। সকালের ঘুম ভাঙলো এক মহিলার কর্কশ খেদোক্তিতে। সেই এলাকার এম.পির প্রতি তার চরম ক্ষোভ। চোরাচালানীর মাল ধরা পড়ে গেছে। এখন তার না খেয়ে থাকার অবস্থা। এতোদিন সরকার তাদের ভাতে হাত বসায়নি। তারা অনায়াসে ভারতের শাড়ী এনে বিক্রি করতে পারত। আর মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষ ২৫০টাকার বাংলাদেশী শাড়ীর বদলে ১২০টাকায় সুন্দর সুন্দর সব শাড়ী কিনতে পারতো। বিএনপি-জোট সরকার ক্ষমতায় এসে সীমানায় কড়াকড়ি শুরু করেছে, এখন অনেক চোরাকারবারীই বেকার হয়ে পড়ল।... আহারে!...লাইবেরিয়ার একটি মেইল পেয়েছি, তিনি লিখেছেন....২০০২ সালের আগে সেনাবাহিনীর অবসরে যাচ্ছেন এমন অফিসারদের পাঠানো হতো বিডিআর এ যারা কেবল প্রহর গুণতেন শেষ দিনগুলোর। তখন বিডিআর এর এক এক ডিএডির তিনচারটা করে বাড়ি থকত। এমনকি সিপাহী, নায়েক হাবিলদাররাও দেদার পয়সার মালিক হতেন, বাড়ি-গাড়ি করতেন। আমাদের এক প্রতিবেশী কাকা ছিলেন বিডিআর এ যার বেতন আমার বাবার দশভাগের একভাগ অথচ তার ঘরে নেই এমন কোনও বিলাস সামগ্রী অবশিষ্ট ছিল না। তাদের চলা ফেরার ঠাটবাট, আয়েস দেখে চমকে যেত অনেকে। কাকী একটু ধর্মপ্রিয় ছিলেন। প্রায়ই আমারে মায়ের কাছে এসে কাকার নামে নালিশ জানাতেন। ভাইকে বলেন লোকটাকে একটু বুঝয়ে বলতে, এতো পাপ আল্লাহ সহ্য করবে না। সবাই করে তাই সেও করে।....২০০২ এর পর দৃশ্যটা পরিবর্তন হয়ে গেলো। বিভিন্ন অপারেশনে সফল অবদান রেখেছেন এমন সৎ-সাহসী অফিসারদেরকে বিডি আর এ পুশ করা শুরু হলো। তখন থেকেই বন্ধ হতে থাকলো চোরাচালানী। ১০০ভাগ বন্ধ হয়েছে এমন দাবী করছি না। তবে অনেক অনেক কমে গিয়েছিল, প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ হয়ে গেলো ভারতের চোরাপথের কামাই। তখন থেকেই ভারত লেগে আছে বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ধংসের পায়তারায়। ইয়াং এনার্জেটিক অফিসারদের বিডিআরএ পাঠানোর পর থেকে কোনও যুদ্ধেই বিএসফ জয়ীহতে পারেনি। বরং পূর্বের কিছু ছিটমহলও তারা পুনরুদ্ধার করলো। এমন কৃতিত্বে ভারতের বিএসএফ পড়ল চরম মর্মপীড়ায়। নানাভাবে তারা বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ বাড়াল। কিন্তু সেনাবাহিনীর তৎপরতায় তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। যদি সেনাবাহিনী দিয়ে বিডিআর পরিচালনা অব্যাহত থাকে তাহলে আর সীমান্তবর্তী অপরাধ ঘটানো, সীমানা দখল, আর সম্ভব নয় এটা তার বুঝে গিয়েছিল। এদিকে যেসব সিনিয়র অফিসারদের (ডিএডি) উপার্জন বন্ধ হয়ে গেলো তারা ব্যপারটিকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। দেশপ্রেমী সাধারণ সোলজারতদরকে এবং জুনিয়রদের কানে বাতাস লাগালেন যে আমরাতো সিপাই থাকতেই বাড়ি গাড়ি করে ফেলতে পারছি আর তোমরা? সারাজীবন চাকরি করেই মরবা, আর তোমাদের বস রা আর্মি থেকে এসে টাকার পাহাড় বানাচ্ছে.... শুরু হলো টুকরো টুকরো ক্ষোভ। সত্যিই বুঝি তাই। ওরা চোরাপথের টাকা দিয়ে আমাদের মতো চাকরি করে বাড়িগাড়ি করবে আর আমরা না খেয়ে মরবো?এভাবে বিডিআর এর মানসিকতা তৈরীর পেছনে ওদের উদ্দেশ্য ছিল যাতে বিডিআরদের নেতৃত্ব থেকে আমিূদের সরিয়ে ফেলা হয়। ওরা লুটপাট করে খেতে পারে।এর সত্যতা প্রমাণিত হয় পিলখানা কিলিং এ ভারতীয় কমান্ডোদের সাথে কয়েকজন ডিএডিও ছিল। যাদের উপড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেনাদের তৎপরতায়।তথ্য আরও আছে। যেদিন ঘটনাটি ঘটানো হয়,
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন