বিডিআর এর ঘটনার তদন্ত যেন বৃটেনের ডেভিড কেলীর ’হাটন ইনকুয়ারী’ না হয়
২৪ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
এ কান্ট্রি রান বাই-দ্যা ইনকম্পিটেন্টস, ফর দ্যা ইনকম্পিটেন্টস!লেখা লেখি থেকে ইদানিং বিদায় নিয়ে নিতে চাই। কারন আমি এমন এক সমাজের বাসিন্দা যেখানে সত্য কথা বলতে পারিনা, সত্য কথা লিখতে পারিনা। সত্য কথা বললে টেলিভিশন সেটা ব্রডকাস্ট করেনা, সত্য কথা লিখলে পত্রিকা ছাপতে পারেনা। বৃটেনে বসবাস করার কারনে অনেক ব্যাপার স্যাপার সহজেই জানা যায় সহজেই বুঝা যায়। বিডিআর এর ঘটনা ২৫ তারিখই শুনেছিলাম। কিন্তু লিখবো লিখবো বলে লেখা হচ্ছেনা। লিখে লাভই বা কি? ২ মার্চ ০৯ সকাল ১১টা, স্ত্রীর ফোন। স্ত্রীর ফোন সাধারনত ধরতে চাইনা। পাঠক বুঝতেই পারছেন কেন ধরিনা। ইগনর করলাম। একবার, দুবার, তিনবার, ফোন ধরলাম। বিরক্ত হয়েই জিজ্ঞাস করি কি ব্যাপার? স্ত্রী বলে “মিনিস্টার ফর লন্ডন“ জিম ফিজ প্যাট্রিক এমপি এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছেন, হাউস অব পার্লামেন্টের জুবীলী রুমে- সন্ধ্যা সাতটায়, তোমাকে যেতে বলেছেন, স্ত্রীকে বললাম যেতে পারবোনা, বললো যেতে হবেই। তোমি বাড়ীতে চলে এসো বিকেল ৫টার মধ্যে, একসাথেই চলে যাবো। তানভীর আহমদকে বলো, তানভীর প্রথম আলোর লন্ডন প্রতিনিধি, এবং চ্যানেল আই ইউকে-ইউরোপের নির্বাহি সম্পাদক। তানভীর সাহেবকে বললাম, একটি নিউজ আছে, ক্যামেরা ক্রু নিয়ে চলে যাবেন, আমিও থাকতে পারি। তানভীর সাহেব চলে গেলেন- সাতটা বাজার আধা ঘন্টা আগে। আমি সব সময়ই লেইট, সাতটা দশ মিনিটে গিয়ে হাজির হলাম। অনেক পরিচিত লোক। জিম ফিজ প্যাট্রিকের সাথে দেখা হলো পার্লামেন্টের হল রুমে। হাত মিলিয়ে ভিতরে গেলাম। ধন্যবাদ জানালেন জিম যাওয়ার জন্য। জিমের স্ত্রী শীলার সাথেও দেখা হলো। কিছুক্ষনের মধ্যে বৃটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসলেন, বক্তব্য রাখলেন, তানভীর সাহেব ও শাহরিয়ার হাবিব অয়ন ক্যামেরা ঠিক করলেন সাক্ষাতকার নেওয়া হলো, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এলান জনসনের। এলানকে আমি চিনি, পরিচয় হয়েছিল লন্ডনে গত বছর একটি প্রেস কনফারেন্সে। বললেন পৃথিবীর সব জায়গায় মারা-মারি লেগেই আছে, এটা এখন গ্লোবাল সমস্যা। বললেন বাংলাদেশ যদি চায় তাহলে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে বৃটেন প্রস্তুুত। এলান জনসনের সাক্ষাতকারের পর এক ভদ্রলোক বাংলাদেশের বিডিআর এর ঘটনা শুনে বললেন,” থার্ড ওয়ার্ল্ডের একটি দেশ বাংলাদেশ হোয়াট ডু ইউ এসপেক্ট?” শুনে খারাপ লাগলো! কোনো কিছু বললামনা, ধীরে ধীরে তার পাশে গেলাম জিজ্ঞাস করলাম কি মিন করতে চাও? বললো বিডিআর এর ঘটনা বাংলাদেশের টোটাল ইন্টিলিজেন্সের ফেইলর, বললাম ঘটনা সত্য, তারপর তাঁর মুখের উপর বৃটেনে আইআর এর কিছু বোমাবাজির ঘটনা শুনিয়ে দেয়ার পর তিনি বললেন’” এ কান্ট্রি রান বাই দ্য ইনকম্পিটেন্টস ফর দ্য ইনকম্পিটেন্টস! ” ভদ্রলোকের সাথে কথ্ াবাড়াইনি। চলে আসলাম, রাতে বাসায় ফিরে ঘটনাটি নিয়ে লিখবো কি লিখবোনা ভাবতে ভাততে অনেক দিন চলে গেছে, বুড়িগংঙ্গার জল ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে ফেলেছে, কিন্তু কোনো কুল কিনারা হচ্ছেনা।প্রিয় পাঠক ইদানিং বিডিআরএর ঘটনার তদন্ত দেখে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এ ঘটনার কোনো তদন্ত রিপোর্ট বের হবেনা, আর বের হলেও কারা জড়িত, আর কেনইবা এ লোমহর্ষক ঘটনা ঘটলো তার কোনো উত্তর পাওয়া যাবেনা। বানিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানকে দায়িত্ব দেয়ার পর আমি কিছুটা আশান্বিত হয়েছিলাম, ভেবেছিলাম ভদ্রলোক স্মার্ট, একটা কিছু তিনি করতে পারবেন, কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততই আমার কাছে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের বিডিআরএর ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট বৃটেনের সাইন্টিস্ট ডেভিড কেলীর মৃত্যুর পর হাটন ইনকুয়ারীর মতই হবে। পাঠক আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ডেভিড কেলীর কথা? ডেভিড কেলী বলেছিলেন ইরাকে “ওপেন অব ম্যাসডিস্টাকশন নেই“ তারপর তাকে তার বাড়ীর সামনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল! অবশ্য ডেভিড কেলীর মৃত্যুর পর বিবিসি বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর মত (যেভাবে বিডিআর এর ঘটনা ব্রডকাস্ট করেছে) সব কিছু ব্রডকাস্ট করতে পারেনি, কারন টনি ব্লেয়ারের ডাইরেক্টার অব কমিউনিকেশনস আলেস্টার ক্যম্পবল ছিলেন খুবই শক্তিশালী, তিনি ব্রিটিশ মিডিয়াকে সাউট করতে পারতেন। তবে ডেভিড কেলীর মৃত্যুর পর বৃটেনের এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে জিজ্ঞাস করেছিলেন “হেভ ইউ গট ব্লাড ইন ইয়োর হ্যন্ড প্রাইমিনিস্টার? আর ইউ গয়িং টু রিজাইন?“ বাংলাদেশে অবশ্য এ রকম বলার মত কোনো সাংবাদিক নেই! যারা আছে বেশীরভাগই চামচা প্রকৃতির সাংবাদিক! আর কেউই রিজাইন করবেনা, দায় দায়িত্ব নেবেনা, একে অপরকে দোষারোপ করেই খালাস পাবে।ফয়সল চৌধুরী১৯/০৩/০৯লন্ডন পুনশ্চ: কতৃপক্ষের ইমেইল পেয়ে ভাবলাম আমার লেখা প্রথম পাতায় যাবে , লেখা দিলাম কিন্তু লেখা ত প্রথম পাতায় নাই ! সম্প্রতি আবিস্কার করলাম আমি নাকি সেইফ ব্লগার। তাই আমার একখানা লেখা আবার প্রথম পাতায় পোস্টাইলাম।
এ কান্ট্রি রান বাই-দ্যা ইনকম্পিটেন্টস, ফর দ্যা ইনকম্পিটেন্টস!লেখা লেখি থেকে ইদানিং বিদায় নিয়ে নিতে চাই। কারন আমি এমন এক সমাজের বাসিন্দা যেখানে সত্য কথা বলতে পারিনা, সত্য কথা লিখতে পারিনা। সত্য কথা বললে টেলিভিশন সেটা ব্রডকাস্ট করেনা, সত্য কথা লিখলে পত্রিকা ছাপতে পারেনা। বৃটেনে বসবাস করার কারনে অনেক ব্যাপার স্যাপার সহজেই জানা যায় সহজেই বুঝা যায়। বিডিআর এর ঘটনা ২৫ তারিখই শুনেছিলাম। কিন্তু লিখবো লিখবো বলে লেখা হচ্ছেনা। লিখে লাভই বা কি? ২ মার্চ ০৯ সকাল ১১টা, স্ত্রীর ফোন। স্ত্রীর ফোন সাধারনত ধরতে চাইনা। পাঠক বুঝতেই পারছেন কেন ধরিনা। ইগনর করলাম। একবার, দুবার, তিনবার, ফোন ধরলাম। বিরক্ত হয়েই জিজ্ঞাস করি কি ব্যাপার? স্ত্রী বলে “মিনিস্টার ফর লন্ডন“ জিম ফিজ প্যাট্রিক এমপি এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছেন, হাউস অব পার্লামেন্টের জুবীলী রুমে- সন্ধ্যা সাতটায়, তোমাকে যেতে বলেছেন, স্ত্রীকে বললাম যেতে পারবোনা, বললো যেতে হবেই। তোমি বাড়ীতে চলে এসো বিকেল ৫টার মধ্যে, একসাথেই চলে যাবো। তানভীর আহমদকে বলো, তানভীর প্রথম আলোর লন্ডন প্রতিনিধি, এবং চ্যানেল আই ইউকে-ইউরোপের নির্বাহি সম্পাদক। তানভীর সাহেবকে বললাম, একটি নিউজ আছে, ক্যামেরা ক্রু নিয়ে চলে যাবেন, আমিও থাকতে পারি। তানভীর সাহেব চলে গেলেন- সাতটা বাজার আধা ঘন্টা আগে। আমি সব সময়ই লেইট, সাতটা দশ মিনিটে গিয়ে হাজির হলাম। অনেক পরিচিত লোক। জিম ফিজ প্যাট্রিকের সাথে দেখা হলো পার্লামেন্টের হল রুমে। হাত মিলিয়ে ভিতরে গেলাম। ধন্যবাদ জানালেন জিম যাওয়ার জন্য। জিমের স্ত্রী শীলার সাথেও দেখা হলো। কিছুক্ষনের মধ্যে বৃটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসলেন, বক্তব্য রাখলেন, তানভীর সাহেব ও শাহরিয়ার হাবিব অয়ন ক্যামেরা ঠিক করলেন সাক্ষাতকার নেওয়া হলো, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এলান জনসনের। এলানকে আমি চিনি, পরিচয় হয়েছিল লন্ডনে গত বছর একটি প্রেস কনফারেন্সে। বললেন পৃথিবীর সব জায়গায় মারা-মারি লেগেই আছে, এটা এখন গ্লোবাল সমস্যা। বললেন বাংলাদেশ যদি চায় তাহলে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে বৃটেন প্রস্তুুত। এলান জনসনের সাক্ষাতকারের পর এক ভদ্রলোক বাংলাদেশের বিডিআর এর ঘটনা শুনে বললেন,” থার্ড ওয়ার্ল্ডের একটি দেশ বাংলাদেশ হোয়াট ডু ইউ এসপেক্ট?” শুনে খারাপ লাগলো! কোনো কিছু বললামনা, ধীরে ধীরে তার পাশে গেলাম জিজ্ঞাস করলাম কি মিন করতে চাও? বললো বিডিআর এর ঘটনা বাংলাদেশের টোটাল ইন্টিলিজেন্সের ফেইলর, বললাম ঘটনা সত্য, তারপর তাঁর মুখের উপর বৃটেনে আইআর এর কিছু বোমাবাজির ঘটনা শুনিয়ে দেয়ার পর তিনি বললেন’” এ কান্ট্রি রান বাই দ্য ইনকম্পিটেন্টস ফর দ্য ইনকম্পিটেন্টস! ” ভদ্রলোকের সাথে কথ্ াবাড়াইনি। চলে আসলাম, রাতে বাসায় ফিরে ঘটনাটি নিয়ে লিখবো কি লিখবোনা ভাবতে ভাততে অনেক দিন চলে গেছে, বুড়িগংঙ্গার জল ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে ফেলেছে, কিন্তু কোনো কুল কিনারা হচ্ছেনা।প্রিয় পাঠক ইদানিং বিডিআরএর ঘটনার তদন্ত দেখে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এ ঘটনার কোনো তদন্ত রিপোর্ট বের হবেনা, আর বের হলেও কারা জড়িত, আর কেনইবা এ লোমহর্ষক ঘটনা ঘটলো তার কোনো উত্তর পাওয়া যাবেনা। বানিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানকে দায়িত্ব দেয়ার পর আমি কিছুটা আশান্বিত হয়েছিলাম, ভেবেছিলাম ভদ্রলোক স্মার্ট, একটা কিছু তিনি করতে পারবেন, কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততই আমার কাছে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের বিডিআরএর ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট বৃটেনের সাইন্টিস্ট ডেভিড কেলীর মৃত্যুর পর হাটন ইনকুয়ারীর মতই হবে। পাঠক আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ডেভিড কেলীর কথা? ডেভিড কেলী বলেছিলেন ইরাকে “ওপেন অব ম্যাসডিস্টাকশন নেই“ তারপর তাকে তার বাড়ীর সামনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল! অবশ্য ডেভিড কেলীর মৃত্যুর পর বিবিসি বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর মত (যেভাবে বিডিআর এর ঘটনা ব্রডকাস্ট করেছে) সব কিছু ব্রডকাস্ট করতে পারেনি, কারন টনি ব্লেয়ারের ডাইরেক্টার অব কমিউনিকেশনস আলেস্টার ক্যম্পবল ছিলেন খুবই শক্তিশালী, তিনি ব্রিটিশ মিডিয়াকে সাউট করতে পারতেন। তবে ডেভিড কেলীর মৃত্যুর পর বৃটেনের এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে জিজ্ঞাস করেছিলেন “হেভ ইউ গট ব্লাড ইন ইয়োর হ্যন্ড প্রাইমিনিস্টার? আর ইউ গয়িং টু রিজাইন?“ বাংলাদেশে অবশ্য এ রকম বলার মত কোনো সাংবাদিক নেই! যারা আছে বেশীরভাগই চামচা প্রকৃতির সাংবাদিক! আর কেউই রিজাইন করবেনা, দায় দায়িত্ব নেবেনা, একে অপরকে দোষারোপ করেই খালাস পাবে।ফয়সল চৌধুরী১৯/০৩/০৯লন্ডন পুনশ্চ: কতৃপক্ষের ইমেইল পেয়ে ভাবলাম আমার লেখা প্রথম পাতায় যাবে , লেখা দিলাম কিন্তু লেখা ত প্রথম পাতায় নাই ! সম্প্রতি আবিস্কার করলাম আমি নাকি সেইফ ব্লগার। তাই আমার একখানা লেখা আবার প্রথম পাতায় পোস্টাইলাম।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন