প্রকাশে অপ্রকাশে...

প্রকাশে অপ্রকাশে...
অব্যক্ত যন্ত্রণার বহি:প্রকাশ দেখে আমরাও কদাচিৎ
দীর্ঘশ্বাস ফেলে সমবেদনা জানাই ভিকটিমকে, অথচ সে বেদনা নিজের।
আমি প্রতিমুহূর্তে এবং অল্পতেই বেদনাতুর হই, অথচ বাস্তবতা বুঝি ঢের।
আমার ভেতরে বাস করে ঘৃণা এবং ভালোবাসা, একত্রে
আমার ভেতরে বাস করে প্রবলআকাঙক্ষা অথচ অতি ক্ষীণ লোভ।
আমি চাই সব অকপটে বলি, সবাইকে অথচ অসম্মান করতে দ্বিধা ঢের।
এমন দ্বিসত্তা এবং বহুসত্তার টানাপড়েনে আমি বিশ্লিষ্ট একাকার।
আমাকে তুলে ধরো গভীর ভালোবাসা দিয়ে, উপলব্ধি আর আন্তরিকতায়
আমি টুকরো হয়ে তোমার কাছে নতি ¯^xKvi করবো অবলীলায় আর যদি
আমাকে রূঢ় বাক্যে, কিংবা দায়িত্বশীল সুরে বলো কিছু
আমি দেব সব ভেঙে। আমাকে আমার মতো ব ঝে নাও।
ফোন কেন করো? অজুহাত খুঁজে খুঁজে। একবার বললেই পারো...
কী বলবে তুমি কীইবা বলার আছে আর, কীইবা বলা যেতে পােও এর বেশি?
অথচ কীইবা বলেছ এতোদিন? তীর্যকতার আড়ালে লোভন কমনীয়তা
কতোখানি টানে পুরুষকে জানি না তবে প্রশ্রয়ে সব বাধা
ভেঙে যায় বন্যার স্রোতে।
তাই তোমার কান্না যখন দেখি মনে হয় সূর্য গলেপড়া একবিন্দু শিশির
অথচ সূর্য হেলে যেতে পারে গলে যায় না।
তেমনি তুমিও গলে গিয়ে ফের সারিয়ে তুলেছ সব ঘা।
আমার ব্যর্থতা তোমার নীরবতাকে ঘিরে, অথচ সফল প্রশ্রয়ে
বলতে চাও না, চাও শুনতে। আমিও পারি লিখে দিতে
শতকোটিবার ভালোবাসি’র পঙক্তি, কিন্তু কলি ফুটবে না বাগযন্ত্রের
কারণ সেখানে ব্যক্তিত্ব নামক জগদ্বল বোধ আটকে রেখেছে সম্মান।
গব ভুলে এসো চিৎকার বলি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন