একটু খানি !
একটু খানি !
খুব সঙ্কোচ হচ্ছিল টাকাটা চাইতে, একপর্যায়ে অনন্যেপায় হয়েই চাইলাম! সে না করেনি, করলে কী হতো? লজ্জায় অপমানে আমি কি ধুলোয় মিশে যেতাম না? আসলে ব্যক্তিত্বের কিছু সংঘাত মানুষ আগলে রাখে সযত্নে। অভাবে কতো মানুষ মানুষ খুন করছে, ঠাগবাজি, সন্ত্রাস ছিনতাই কী না করছে? মানুষের এ অভাব-বেকারত্ব-চাহিদাকে পুঁজি করেইতো ডেসটিনির মতো এমএলএম ব্যবসা আজ দেশব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। ডেসটিনির দাওয়াত একবারও পায়নি এমন লোকের সংখ্যা খুঁজতে গেলে পাগল আর শিশু ছাড়া পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। বরং একাধিকবার দাওয়াত পেয়েছেন এমন লোকও অসংখ্য। আর জয়েন করেছেন কতজন তার একটি হিসেবতো ডেসটিনি নিজেই দিচ্ছে। ৩৮ লাখ! ইতোমধ্যে তারা ডেসটিনি পত্রিকা এবং বৈশাখী টেলিভিশন নামের দুটি শক্তিশালী প্রচারমাধ্যমকেও অর্জন করেছেন। তাদের এ সাফল্যের পেছনে কারণ অনুসন্ধান করার কাজ আমার নয় তবে ছোট্ট একটা হিসেব কষলেই পেয়ে যাবেন আসল রহস্য!
গতকাল আমার চাচাত ভাই দেশের বাড়ি থেকে এসেছে চাকরির সন্ধানে। প্রথমে সে চাকরি প্রার্থী হলেও এখন সে চাকরি নয় বলছে রুটিরুজির সন্ধানে। ইতোমধ্যে সুর পাল্টে ফেলেছে। ডেসটিনি মানুষকে চাকরির প্রতি অনীহা তৈরির চেষ্টা করে। চাকরি কী করবেন? কতো টাকা মাইনে পাবেন? তারচে ডেসটিনিতে জয়েন করেন.. ..কতো সরকারি চাকরিজীবী চাকরি ছেড়ে ডেসটিনিতে জয়েন কেও এখন মাসে কোটি টাকা আয় করছে.. .. এমন লোভনীয় কথায় মানুষ সহসাই ফাঁদে পড়ে যায়। বিশেষকরে সদ্যবেকার যুবকেরা। গতকাল অনেক ঘোরানো- পেচানো কথার মাঝ দিয়ে বুঝলাম ও সেই ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে। আমি ওকে বুঝাতে চাইলাম এটা কতোবড় প্রতারণার ফাঁদ! ও এক পর্যায়ে আমার সাথে তর্কই জুড়ে দিল অনেক বড় বড় মানুষের উদাহরণ তুলে বলে এরা কি সব গাধা! আপনি বুঝলে ওরা বোঝে না? আমি বললাম বোঝে তবে জ্ঞান-বুদ্ধি আর উপলব্ধি এক জিনিস নয়। যে জেনে বুঝে এ কাজ করে সে আসলে জানে সে কী করছে, কিন্তু তবু করছে কারণ তার ভেতরে লোভ ঢুকে গেছে, সেও তোর মতো ভাবছে অনেক ভালো ভালো মানুষইতো করছে. . .
ওর থেকে একটা পাওয়া হিসেব থেকে দেখা গেছে প্রথম জয়েন ৬ হাজার টাকা, এর বিনিময়ে পাওয়া যাবে হয়ত একটা ফ্যান; যার বাজারমূল্য ১২০০টাকা। এরপর ওকে যা করতে হবে তা হলো ২টা হাত ম্যানেজ করতে হবে সেদুজন আরও দুটিকরে হাত,মানে চার হাত এভাবে অন্তত ১০জন ডাউনে আসার পর ও ওর বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরৎ পাবে। কিন্তু ডেসটিনি হাতিয়ে নিচ্ছে কতো? ৬ গুণ ১০ মানে ষাট হাজার টাকা। ষাট হাজার টাকা নিজের পকেটে এলে তারপর ৬হাজার টাকা ফেরৎ! তার মানে প্রতি ৬ হাজার টাকার জন্য ওরা পাচ্ছে অন্তত ষাট হাজার টাকা তাহলে ওদেও টাকা কতো? যেই জয়েন করুক তার ডাউনে অন্তত ১০জন জয়েন না করা পর্যন্ত মূলধন ওঠে না এ কথা সে shikarকেও এবং বলে এ কী ধরনের ব্যবসা?ামি ওকে বলি তার চেয়ে বন্ধুদের কাছে কয়টা টাকা চেয়ে নিয়ে বলিস দোস্ত মাফ করে দিস দিতে পারলাম না, চাকরি পেলে দিয়ে দেব। তবু বন্ধুদের এতো বড় ক্ষতি করিস না।. . .
আজ তার প্রমাণ পেলাম। প্রয়োজনে ঋণ চেয়ে কতো সহজেই পেয়ে গেলাম। প্রয়োজনে? দেশের কয়েকশ’ বেকার একত্র হয়ে সমিতি গড়ে তুলেও নিজেদের বেকারত্ব ঘুচাতে পারে কেন অহেতুক সর্বনাশা এ প্রতারণায় নিজেকে বিনিয়োগ করবে যুবসমাজ?
খুব সঙ্কোচ হচ্ছিল টাকাটা চাইতে, একপর্যায়ে অনন্যেপায় হয়েই চাইলাম! সে না করেনি, করলে কী হতো? লজ্জায় অপমানে আমি কি ধুলোয় মিশে যেতাম না? আসলে ব্যক্তিত্বের কিছু সংঘাত মানুষ আগলে রাখে সযত্নে। অভাবে কতো মানুষ মানুষ খুন করছে, ঠাগবাজি, সন্ত্রাস ছিনতাই কী না করছে? মানুষের এ অভাব-বেকারত্ব-চাহিদাকে পুঁজি করেইতো ডেসটিনির মতো এমএলএম ব্যবসা আজ দেশব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। ডেসটিনির দাওয়াত একবারও পায়নি এমন লোকের সংখ্যা খুঁজতে গেলে পাগল আর শিশু ছাড়া পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। বরং একাধিকবার দাওয়াত পেয়েছেন এমন লোকও অসংখ্য। আর জয়েন করেছেন কতজন তার একটি হিসেবতো ডেসটিনি নিজেই দিচ্ছে। ৩৮ লাখ! ইতোমধ্যে তারা ডেসটিনি পত্রিকা এবং বৈশাখী টেলিভিশন নামের দুটি শক্তিশালী প্রচারমাধ্যমকেও অর্জন করেছেন। তাদের এ সাফল্যের পেছনে কারণ অনুসন্ধান করার কাজ আমার নয় তবে ছোট্ট একটা হিসেব কষলেই পেয়ে যাবেন আসল রহস্য!
গতকাল আমার চাচাত ভাই দেশের বাড়ি থেকে এসেছে চাকরির সন্ধানে। প্রথমে সে চাকরি প্রার্থী হলেও এখন সে চাকরি নয় বলছে রুটিরুজির সন্ধানে। ইতোমধ্যে সুর পাল্টে ফেলেছে। ডেসটিনি মানুষকে চাকরির প্রতি অনীহা তৈরির চেষ্টা করে। চাকরি কী করবেন? কতো টাকা মাইনে পাবেন? তারচে ডেসটিনিতে জয়েন করেন.. ..কতো সরকারি চাকরিজীবী চাকরি ছেড়ে ডেসটিনিতে জয়েন কেও এখন মাসে কোটি টাকা আয় করছে.. .. এমন লোভনীয় কথায় মানুষ সহসাই ফাঁদে পড়ে যায়। বিশেষকরে সদ্যবেকার যুবকেরা। গতকাল অনেক ঘোরানো- পেচানো কথার মাঝ দিয়ে বুঝলাম ও সেই ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে। আমি ওকে বুঝাতে চাইলাম এটা কতোবড় প্রতারণার ফাঁদ! ও এক পর্যায়ে আমার সাথে তর্কই জুড়ে দিল অনেক বড় বড় মানুষের উদাহরণ তুলে বলে এরা কি সব গাধা! আপনি বুঝলে ওরা বোঝে না? আমি বললাম বোঝে তবে জ্ঞান-বুদ্ধি আর উপলব্ধি এক জিনিস নয়। যে জেনে বুঝে এ কাজ করে সে আসলে জানে সে কী করছে, কিন্তু তবু করছে কারণ তার ভেতরে লোভ ঢুকে গেছে, সেও তোর মতো ভাবছে অনেক ভালো ভালো মানুষইতো করছে. . .
ওর থেকে একটা পাওয়া হিসেব থেকে দেখা গেছে প্রথম জয়েন ৬ হাজার টাকা, এর বিনিময়ে পাওয়া যাবে হয়ত একটা ফ্যান; যার বাজারমূল্য ১২০০টাকা। এরপর ওকে যা করতে হবে তা হলো ২টা হাত ম্যানেজ করতে হবে সেদুজন আরও দুটিকরে হাত,মানে চার হাত এভাবে অন্তত ১০জন ডাউনে আসার পর ও ওর বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরৎ পাবে। কিন্তু ডেসটিনি হাতিয়ে নিচ্ছে কতো? ৬ গুণ ১০ মানে ষাট হাজার টাকা। ষাট হাজার টাকা নিজের পকেটে এলে তারপর ৬হাজার টাকা ফেরৎ! তার মানে প্রতি ৬ হাজার টাকার জন্য ওরা পাচ্ছে অন্তত ষাট হাজার টাকা তাহলে ওদেও টাকা কতো? যেই জয়েন করুক তার ডাউনে অন্তত ১০জন জয়েন না করা পর্যন্ত মূলধন ওঠে না এ কথা সে shikarকেও এবং বলে এ কী ধরনের ব্যবসা?ামি ওকে বলি তার চেয়ে বন্ধুদের কাছে কয়টা টাকা চেয়ে নিয়ে বলিস দোস্ত মাফ করে দিস দিতে পারলাম না, চাকরি পেলে দিয়ে দেব। তবু বন্ধুদের এতো বড় ক্ষতি করিস না।. . .
আজ তার প্রমাণ পেলাম। প্রয়োজনে ঋণ চেয়ে কতো সহজেই পেয়ে গেলাম। প্রয়োজনে? দেশের কয়েকশ’ বেকার একত্র হয়ে সমিতি গড়ে তুলেও নিজেদের বেকারত্ব ঘুচাতে পারে কেন অহেতুক সর্বনাশা এ প্রতারণায় নিজেকে বিনিয়োগ করবে যুবসমাজ?
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন