ফাকিং ইডিয়ট!....
দীর্ঘ ৭বছরের বৈবাহিক জীবনে হঠাৎ করে পুরনো প্রেমিকার আবির্ভাব ঘটেছে। মেয়েটার
নাম আধি। সেই আদ্যিকালের প্রেম। আমি সোশ্যাল প্রেম জানি না তাই প্রেম টেকে না। এই
আধি মেয়েটাকে পছন্দ করি স্রেফ ওর ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্টের জন্য। আমাদের বাড়িতে ওর
সেকি সুখ্যাতি। দেখতে কালো হলেও আমার বাবা-মার ওর মাঝে বিশেষ কী খুঁজে পেয়েছেন। এক
দুপুরে বাবা-মা যখন গল্প করছিলেন, আমি ঘুমিয়ে তাদের সব কথা শুনি। তারা ডিসাইড করতে
পারছেন না মেয়েটাকে কার সাথে মানাবে। আমার ইমিডিয়েট বড় ভাইর সাথে? নাকি আমার সাথে?
অথচ মেয়েটা আমার ছোটভাইটার ক্লাসেমট। ছোট ভাইটা আধি আমাদের বাসায় এলে খুব বিব্রত ও
বিরক্ত হয়। সমবয়সী একটা মেয়ে ওকে সারাক্ষণ জ্ঞান দিতে থাকে এভাবে পড়বে ওভাবে পড়বে,
এইটা করবে না সেইটা করবে না...টাইপের নছিহত। সমবয়সীদের কাছে কেউ ‘জ্ঞান’ পেলে তার
যে কী বিরক্ত লাগে তা আমি ওকে দেখে শিখেছি। বাবা-মার গল্পে যেটা বুঝলাম তারা আমার
সাথেই মেয়েটাকে ভালো মানাবে বলে মনে করছেন। কারণ তাদের ধারনা আমি ভাইয়ার চেয়ে
মেধাবী। আমার মেধার প্রমাণ দিলাম এসএসসিতে। ভাইয়ার চেয়ে অন্তত ৫০ নাম্বার কম পেয়ে
প্রথম বিভাগ পেলাম। ভাইয়ার সাথে হেরে গিয়ে সবকিছুতেই ভাইয়াকে সবচেয়ে বড়
প্রতিদ্বন্দ্বি মনে হতে লাগলো। যদিও মা বলেন ‘পীঠাপীঠি ভাই, দু’জন একই ক্লাসে,
বড়ভাই একটু বেশি নাম্বার পাইছে সেটাইতো ভালো হইছে’। কিন্তু প্রেমের বাজারে ভাইয়াকে
এক চুল ছাড়ছি না এমন পণ করলাম। মেয়েটা তখন এইটে। বৃত্তির পড়া নিয়ে খুব ব্যস্ত।
আমরা বাসায় যাওয়ার পরও টেবিল ছেড়ে উঠল না। সারাক্ষণ মনমরা হয়ে থেকে বিদায়ের সময় ওর
পড়ার রুমে গেলাম। কথা বলার কোনও প্রসঙ্গ না পেয়ে বললাম এই বইটা আমি নিতে পারি?
একটা কিশোর ম্যাগাজিন। ও আপত্তি করেনি। বাসায় এনে বইটা যতটা না পড়লাম তার চেয়ে
বেশি ভাবলাম ওকে নিয়ে। আমাকে ও পাত্তাই দিল না? খচ খচ করছিল মনের ভেতর। বইটাতে ওর
নাম লিখলাম সুন্দর আর্ট করে। ছোটবেলা থেকেই যে জিনিসটার জন্য আমি কিছু প্রশংসা
কুড়িয়েছি তা হলো আমার হাতের লেখা এবং ভাইয়ার তুলনায় লেখায় ভুল কম করা। ভেবেছি ও এই
আর্ট দেখে খুব খুশি হবে। কিন্তু হলো উল্টো। ও কমপ্লেইন করলো। আমার বইতে আপনি নাম
লিখলেন আমার অনুমতি নিয়েছেন? আমি যেন অপমানে কেঁদেই ফেলছিলাম। বলে কি মেয়েটা?
কোথায় একটু খুশি হবে, তা না, উল্টো কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল? তাও আবার সবার সামনে!
মা বললেন কী এমন হয়েছে? ওর লেখাতো অনেক সুন্দর! আর ওর নিজের নামতো লিখেনি, তোমার
নামই লিখেছে। বাবা বললেন তবু একজনের জিনিসে আরেকজনের কিছু লেখা উচিৎ না। হায়রে!
সারাজীবন বন্ধুরা ওদের খাতায় বইতে আমাকে দিয়ে ওদের নাম লিখাত...আজ তার চরম মূল্য
পেলাম! এত বড় আঘাত কোনওভাবেই হজম করতে পারছিলাম না। প্রতিশোধ নিতে একটা গল্প
লিখলাম। গল্পটা ওরই প্রিয় ম্যাগাজিনে ছাপা হলো ‘সুন্দর হাতের লিখা’ শিরোনামে।
ভেবেছিলাম প্রেম আর হবে না। কিন্তু ভাইয়া ছাড়ল না। প্রথম জীবনেই হোঁচট খাবি তাতো
হয় না। আরও ট্রাই করতে হবে। তোকে আরও স্মার্ট হতে হবে। এইসব পোষাক ছেড়ে একটু রক
হতে হবে। সেই রক হতে গিয়ে প্রথমে ওর পরনের জিন্সের প্যান্ট দিয়ে শুরু হলো। তারপর সবক
ধীরে ধীরে চলতেই থাকল। এত ভালোমানুষী দেখালে প্রেম হয় না। প্রেম করতে হলে একটু
ড্যাম-ড্যাশিং হতে হয়। উগ্র হতে হয়। এরকম ভালোমানুষী করে থাকলে সবাই ভাবে ছেলেটা
হিজড়া। এই জাতীয় জ্ঞানবাণী হিতোপদেশ শুনে শুনে নিজেকে একটু পাল্টালাম।
আধি তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। আর আমার সামনে এইচ এসসি। একদিন সন্ধ্যায় পারিবারিক ট্যুরে গেলাম ওদের বাসায়। সম্ভবত ছোটভাইর কোনও বই-টই লেনদেন জাতীয় পারপাসে। সেদিন ও সে পড়ার টেবিলে। উঠে এলোনা ড্রয়িংরুমে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে একপ্রকার হতাশ হয়ে বিদায় নিব সেই মুহূর্তে চলে গেল বিদ্যুৎ। আধি ওর মা’র অনুরোধে মোমবাতি দিতে এলো ড্রয়িং রুমে। কিন্তু ঠিক তখনি আমার সাথে ধাক্কা খেয়ে মোমবাতিটা ওর হাত থেকে পড়ে নিভে গেলো। ও স্যরি বলে ফিরে যাচ্ছিল আর আমি সেই সুযোগটাই নিলাম। মাত্র একটা। ও কাঁপতে থাকলো।...আমি আলোতে মুখ দেখানোর লজ্জা এড়াতে তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলাম। আর আশংকায় থাকলাম এবারের কমপ্লেইনটা কেমন হয়। একদিন-দুইদিন-তিনদিন...না কোনও কমপ্লেইন এলো না। বরং ওর বাবা বাসায় এসে আমার মায়ের হাতে খিচুরী খেয়ে গেলেন। তার আচরণেও স্পষ্ট বুঝলাম সেই রাতের কথা কিছুই জানে না আধির বাবা মা। খুব হিরো হিরো লাগছিল নিজেকে। সামান্য নাম লেখায় যেই মেয়ে আমার নামে কমপ্লেইন দিয়েছিল সে এবার পুরাই সোজা!...এরপর এলো ওর এসএসসি পরীক্ষার সময়। দোয়া নিতে এলো আমাদের বাসায়। বাবার হোন্ডায় চড়ে এলো। আমার সঙ্গে আড়ালে দেখা করে বলল আপনার একটা শাস্তি পাওনা আছে। আমি একটু ঘাবড়ে গিয়ে বললাম,
আধি তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। আর আমার সামনে এইচ এসসি। একদিন সন্ধ্যায় পারিবারিক ট্যুরে গেলাম ওদের বাসায়। সম্ভবত ছোটভাইর কোনও বই-টই লেনদেন জাতীয় পারপাসে। সেদিন ও সে পড়ার টেবিলে। উঠে এলোনা ড্রয়িংরুমে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে একপ্রকার হতাশ হয়ে বিদায় নিব সেই মুহূর্তে চলে গেল বিদ্যুৎ। আধি ওর মা’র অনুরোধে মোমবাতি দিতে এলো ড্রয়িং রুমে। কিন্তু ঠিক তখনি আমার সাথে ধাক্কা খেয়ে মোমবাতিটা ওর হাত থেকে পড়ে নিভে গেলো। ও স্যরি বলে ফিরে যাচ্ছিল আর আমি সেই সুযোগটাই নিলাম। মাত্র একটা। ও কাঁপতে থাকলো।...আমি আলোতে মুখ দেখানোর লজ্জা এড়াতে তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলাম। আর আশংকায় থাকলাম এবারের কমপ্লেইনটা কেমন হয়। একদিন-দুইদিন-তিনদিন...না কোনও কমপ্লেইন এলো না। বরং ওর বাবা বাসায় এসে আমার মায়ের হাতে খিচুরী খেয়ে গেলেন। তার আচরণেও স্পষ্ট বুঝলাম সেই রাতের কথা কিছুই জানে না আধির বাবা মা। খুব হিরো হিরো লাগছিল নিজেকে। সামান্য নাম লেখায় যেই মেয়ে আমার নামে কমপ্লেইন দিয়েছিল সে এবার পুরাই সোজা!...এরপর এলো ওর এসএসসি পরীক্ষার সময়। দোয়া নিতে এলো আমাদের বাসায়। বাবার হোন্ডায় চড়ে এলো। আমার সঙ্গে আড়ালে দেখা করে বলল আপনার একটা শাস্তি পাওনা আছে। আমি একটু ঘাবড়ে গিয়ে বললাম,
কবে?
পরীক্ষা ভালো হলে...
তারমানে পরীক্ষার পর?
হুম।
দিনটাকে ডায়রিতে লিখে রাখলাম। কিন্তু সেই ডায়রিটাই আজ নেই। স্মৃতি ঠিকই আছে।
যথারীতি পরীক্ষা শেষে ও আমার ছোটভাইকে দিয়ে একটা চিঠি পাঠালো। তাতে লেখা ‘আপনি
একটা অসভ্য’।
আর কিছু না লিখে শুধু এই একটি কথায় কীইবা পেলাম আমি? ছোটভাইটাকে খোঁচালাম আর কিছু বলছে? ও বলে, না। কিন্তু ও যে আমাকে চিঠি দিয়েছে তাতেই অনেক ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে শুরু করলো সবাই। মা কথা প্রসঙ্গে বলে যেই ড্যান্জারাস মেয়ে ঘরে থাকতে পারবে না...খুব জেদি...ইত্যাদি। কিন্তু তবু প্রেমটা হলো। ও আমাকে চিরকুট দেয়, চিঠি দেয়, প্রিয় অসভ্য সম্বোধন করে। আমার অন্যরকম ভালো লাগে। কিন্তু যুগের বাতাসে এক প্রেমে যেন আর মজা লাগে না। তাই হঠাৎ আরেকটা মেয়ে খুব পছন্দ হয়ে গেলো প্রথম দেখাতেই। ওর বাবা ভার্সিটির টিচার। মেয়েটা দেখতে ইরানীদের মতো। ওর জন্য ‘যে করেই হোক ভার্সিটিতে আমাকে চান্স পেতেই হবে’ এমন জেদ চেপে বসলো। এবং যথারীতি চান্সও পেলাম। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। মা বলেছিল ভার্সিটিতে চান্স পেলে মেয়েটার মায়ের সাথে কথা বলবে। কিন্তু বলেনি। তখন নতুন শর্ত জুড়ে দিয়েছে...ফার্স্টক্লাস পেলে...
যাই হোক প্রেমের জীবন এভাবেই একঘাট থেকে অন্য ঘাটে যেতে থাকে। একসময় সব পাগলামি ভুলে শুধু পড়াশুনা নিয়ে পড়ে থাকলাম। প্রথমবর্ষে সিরিয়াল পেলাম। বৃত্তি পেলাম। জীবনের প্রথম উপার্জন। ভুলে যেতে থাকলাম ছোটবেলা, শুধু বড়ই হতে থাকলাম। একসময় অনুভব করলাম ভীষণ একাকী হয়ে গেছি। মাস্টার্স পরীক্ষাও শেষ। পেছনে ফিরে দেখি কেউ কেউ জুটি বেঁধেছে। খুব টান অনুভব করলাম। পারলাম না আর অতীতে ফিরে যেতে। শেষে সংযোগ ঘটলো নতুন মানুষের সাথে। হলো বিয়ে। আর আধি চলে গেলো দেশের বাইরে। ওর বাবা প্রায়ই আফসোস করতেন। বাইরে থাকে একা একা কী করে না করে কে জানে? ওসব দেশেতো পর্দার বালাই নাই।...অনেক বছর পর আধি ফিরে এলো। ঢাকায় এসে উঠলো ভাইয়ার বাসায়। চলাফেরা দেখে ভাইয়া খুব হতাশ। এমন বাবার এমন মেয়ে? তবু বাপের খাতিরে মানিয়ে নেন কিছুদিন। আর ছোটটার উপর ওর সেই আগের মতোই চোটপাট। এইটা করো, সেইটা করো...যেন ভাইয়ার ওপর ওর দাবি আমার ছোটভাইটার চেয়েও বেশি। যোগাযোগ হলো আমার বউর ভাইর সাথে। একটা চাকরিও হলো আধির। কিন্তু বেটার অফার পেয়ে শেষমেস আর করেনি। এরপর হঠাৎ একদিন ফেসবুকে আমার সাথে কথা...হ্যাল্লো Fucking Idiot! Hw r U?..আমি প্রথমে একটু হোঁচট খেলাম। গালি দিল কে? তারপরই মনে পড়লো কে আমাকে ‘অসভ্য’ বলে সম্বোধন করতো।....ফেসবুকে অনেক ঝগড়া হলো। একে অপরকে দোষারোপ করা হলো...ইত্যাদি ইত্যাদি...কিন্তু মোবাইলে লগইন থাকা ফেসবুকে বউ দেখে ফেলে সেই কনভার্সেশন। সে ভাবতে থাকে ফাকিং ইডিয়টের মানে।...সে ভাবতে থাকে কী সম্পর্ক মেয়েটার সাথে আমার?
আর কিছু না লিখে শুধু এই একটি কথায় কীইবা পেলাম আমি? ছোটভাইটাকে খোঁচালাম আর কিছু বলছে? ও বলে, না। কিন্তু ও যে আমাকে চিঠি দিয়েছে তাতেই অনেক ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে শুরু করলো সবাই। মা কথা প্রসঙ্গে বলে যেই ড্যান্জারাস মেয়ে ঘরে থাকতে পারবে না...খুব জেদি...ইত্যাদি। কিন্তু তবু প্রেমটা হলো। ও আমাকে চিরকুট দেয়, চিঠি দেয়, প্রিয় অসভ্য সম্বোধন করে। আমার অন্যরকম ভালো লাগে। কিন্তু যুগের বাতাসে এক প্রেমে যেন আর মজা লাগে না। তাই হঠাৎ আরেকটা মেয়ে খুব পছন্দ হয়ে গেলো প্রথম দেখাতেই। ওর বাবা ভার্সিটির টিচার। মেয়েটা দেখতে ইরানীদের মতো। ওর জন্য ‘যে করেই হোক ভার্সিটিতে আমাকে চান্স পেতেই হবে’ এমন জেদ চেপে বসলো। এবং যথারীতি চান্সও পেলাম। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। মা বলেছিল ভার্সিটিতে চান্স পেলে মেয়েটার মায়ের সাথে কথা বলবে। কিন্তু বলেনি। তখন নতুন শর্ত জুড়ে দিয়েছে...ফার্স্টক্লাস পেলে...
যাই হোক প্রেমের জীবন এভাবেই একঘাট থেকে অন্য ঘাটে যেতে থাকে। একসময় সব পাগলামি ভুলে শুধু পড়াশুনা নিয়ে পড়ে থাকলাম। প্রথমবর্ষে সিরিয়াল পেলাম। বৃত্তি পেলাম। জীবনের প্রথম উপার্জন। ভুলে যেতে থাকলাম ছোটবেলা, শুধু বড়ই হতে থাকলাম। একসময় অনুভব করলাম ভীষণ একাকী হয়ে গেছি। মাস্টার্স পরীক্ষাও শেষ। পেছনে ফিরে দেখি কেউ কেউ জুটি বেঁধেছে। খুব টান অনুভব করলাম। পারলাম না আর অতীতে ফিরে যেতে। শেষে সংযোগ ঘটলো নতুন মানুষের সাথে। হলো বিয়ে। আর আধি চলে গেলো দেশের বাইরে। ওর বাবা প্রায়ই আফসোস করতেন। বাইরে থাকে একা একা কী করে না করে কে জানে? ওসব দেশেতো পর্দার বালাই নাই।...অনেক বছর পর আধি ফিরে এলো। ঢাকায় এসে উঠলো ভাইয়ার বাসায়। চলাফেরা দেখে ভাইয়া খুব হতাশ। এমন বাবার এমন মেয়ে? তবু বাপের খাতিরে মানিয়ে নেন কিছুদিন। আর ছোটটার উপর ওর সেই আগের মতোই চোটপাট। এইটা করো, সেইটা করো...যেন ভাইয়ার ওপর ওর দাবি আমার ছোটভাইটার চেয়েও বেশি। যোগাযোগ হলো আমার বউর ভাইর সাথে। একটা চাকরিও হলো আধির। কিন্তু বেটার অফার পেয়ে শেষমেস আর করেনি। এরপর হঠাৎ একদিন ফেসবুকে আমার সাথে কথা...হ্যাল্লো Fucking Idiot! Hw r U?..আমি প্রথমে একটু হোঁচট খেলাম। গালি দিল কে? তারপরই মনে পড়লো কে আমাকে ‘অসভ্য’ বলে সম্বোধন করতো।....ফেসবুকে অনেক ঝগড়া হলো। একে অপরকে দোষারোপ করা হলো...ইত্যাদি ইত্যাদি...কিন্তু মোবাইলে লগইন থাকা ফেসবুকে বউ দেখে ফেলে সেই কনভার্সেশন। সে ভাবতে থাকে ফাকিং ইডিয়টের মানে।...সে ভাবতে থাকে কী সম্পর্ক মেয়েটার সাথে আমার?
এ এক নতুন ঝড় আমার ৭বছেরর বৈবাহিক জীবনে। জানি না ঝড় কতোদিন টিকে থাকে। তবে যে
মেয়েটা বাইরে পড়াশুনা করে এসেছে হয়ত ‘ফ্রিসেক্স কালচার’ তাকেও প্রভাবিত
করেছে...হয়ত তার কাছে ফাকিং ইডিয়ট খুবই মামুলী ব্যাপার...কিন্তু আমার সরলপ্রাণ
স্বামীভক্ত বউর কাছে? এ এক দুর্বোধ্য রহস্য...। যা তাকে সংসারে মন বসাতে দেয়
না।....তবে সত্যি বলতে কি ‘অসভ্য’ সম্বোধনটা যেমন খুব এনজয় করেছি, তেমনি এই ইংলিশ
গালিটাও....
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন