amar Lekha
-কেমন আছ? -ভালো, তুমি? -আমি... কী বলবো?... -যা সত্য তাই বলো! কেমন আছ? -ভালো, আবার ভালো না -কী রকম? -থাক! তোমার সময় নষ্ট হবে! তুমি যাও! -যাচ্ছি! শুনেই যাই? -কী শুনবা? আমার কষ্টের কথা? -হ্যা, যদি বলো, -এসব শুনে কোনও লাভ আছে? কত মানুষযে আছে কতরকম কষ্টও যে আছে পৃথিবীতে! -আধ্যাত্মিক কথা বাদ দেও বলো না, তুমি কেমন আছ? -ভালোই আছি! এরচে খারাপ যে নেই সেটাই ভালো -আরও কি খারাপ থাকতে পারতে? -এই যেমন ধরো, স্বামী প্রতিরাতে গায়ে হাত তুলতো বিশ্রি বিশ্রি গালি দিত উঠতে বসতে ডাক দিত... -আর এখন কী করে? -তেমন কিছু না! একটু পলিগেমাস.... -এটাতো পুরুষের স্বভাব স্ত্রীকে ভালো লাগে না ভালো লাগে পরস্ত্রী অথচ যাকে তার পছন্দ তাকে হয়ত তার -স্বামী পছন্দ করছে না, সে পছন্দ করছে আরেকজনের স্ত্রীকে...এটা একটা গেম! -তুমিতো বলেই খালাস! আর আমি যে প্রতিমুহূর্তে এর ফলভোগ করছি! -আমিন ভাই কার প্রেমে পড়েছে? মেয়েটা কি বিবাহিত নাকি... -না, ওর আগের প্রেমিকা! -ও! নতুনকরে প্রেম জাগছে! বেশি বাধা দিও না, বরং দেখো ভালো ব্যবহার করে ওর কাছ থেকে সরানো যায় কি না! -পারতাম আমার বাবা মার যদি অনেক টাকা থাকত... ওই মেয়েটার বাবার অনেক টাকা -আমিন ভাই একটা ছোটলোক! আমার কিন্তু তার ব্যপারে অনেক উঁচু ধারণা ছিল -প্রথম প্রথম ওর ব্যপারে সবারই উঁচু ধারণা হয়, পরে সবাই বুঝে ফেলে ওর আসল চেহারা তা কত দূর? -এখন কত দূর জানি না, তবে এটা জানি ওকেই ওর বিয়ে করার কথা ছিল রাগের মাথায় হুটকরে ওকে ছেড়ে আমার সাথে প্রেমকরে... আমিতো আর জানতাম না -এখনকি সে আবার ওই মেয়েকেই বিয়ে করতে চায়? -মাথা খারাপ? বিয়ে করতে চায় না, তবে পেতে চায় -সেটা কী রকম? -ফাও ভোগ করতে চায় -তাহলে আর তোমার সমস্যা কি? সে যদি পারে একটা মেয়েকে পটিয়ে টটিয়ে ভোগকরে ছেড়ে দিক! তুমিতো তার বিয়েকরা বউ -এমন চরিত্রের মানুষের সঙ্গে ঘরকরা কি সম্ভব? অসম্ভবই বা কি? করছতো! করছিতো বাধ্য হয়ে , তাছাড়া চাচ্ছি সুপথে আনতে, না পারলে ছেড়ে দেবো কী ছেড়ে দেবে? চেষ্টা? নাকি আমিন ভাইকে? দুটোই হয়ত! তারপর? তুমি আবার আরেকজনকে ধরবে? তুমি কী ভাবো আমাকে? না মানে মেয়েরা এমন করেতো! তুমি আমার এতোদিনের বন্ধু হয়ে.... ছিঃ ছিঃ শিমুল! স্যরি, স্যরি শান্তা আমি রিয়েলি তোমাকে হার্ট করতে চাইনি কিন্তু এটাওতো ঠিক যে তাকে ছেড়ে দিলে কাউকে না কাউকে তোমার গ্রহণ করতে হবে একলাতো আর জীবনটা পাড় করতে পারবে না কেন পারবো না? আমি একাই জীবনটা পাড় করে সবাইকে দেখিয়ে দেবো বুঝছি সমস্যাটা অনেক জটিল তোমার বিপদটাও অনেক বড় আমরা আসলে পরামর্শের বন্ধু, কিছু করার মতো বন্ধু না কিছু করার থাকলে সত্যিই তোমার জন্য কিছূ করতাম তুমি কি মনে করো আমিন ভাইকে আমি বুঝানোর চেষ্টা করলে... নাহ, তাতে কাজ হবে না তবে ওই মেয়েটাকে কোনওভাবে সরানো গেলে হয়ত... সেটাই বা কীভাবে? তুমিওত অনেক হ্যান্ডসাম, তুমি একটু চেষ্টা করে দেখো না পান্নাকে তোমার দিকে ফেরাতে পারো কি না! (শান্তা ভেবে বলে) তারপর? তারপর আর কি? মেয়েটা ওকে পাত্তা না দিলেই হলো! ও এতোটা ব্যক্তিত্বহীন নয় যে একটা মেয়ে পাত্তা না দিলেও তার পেছনে বারবার ধর্না দেবে! বুঝলানা একদিনের একটা আচরণে এতোদিনের সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে সে আমার কাছে ধরা দেয়, প্রেম করে অতিদ্রত বিয়েও করে ফেলে বিয়ের আগে তুমি এসব জানতে চেষ্টা করোনি? জানতে চেষ্টা করবো কি! ও নিজে থেকেই সব বলেছে, এমনকি মেয়েটা ওকে চুমু খাচ্ছে সে ছবিও আমি দেখেছি মেয়েটা অবশ্য তখন অনেক ছোট তাহলে আর আমিন ভাইকে দোষ দিয়ে লাভ কি? আসলে ও এমনভাবে আমার সমস্ত আত্মা জুড়ে গেলো যে ও যাই বলুক ওকে আর খারাপ লাগাতে পারতাম না ওর ভিতর ভালোলাগার এমন কিছু দিক আছে.... বুঝছি,আমাকেও দাও না কয়টা টিপস্! দেখি যদি ওই মেয়েটাকে পটাতে পারি... মেয়েদের পটানোর সবচে ভালো কৌশল হচ্ছে ওদের শাসন করা তবে আন্তরিক শাসন তুমি যদি কোনও মেয়ের প্রতি খবরদারি করো দেখবে মেয়েটি তোমার উপর ডিপেন্ডেট হবে আস্তে আস্তে ভালোবেসে ফেলবে দেখোনা টিচারের সঙ্গে ছাত্রীর প্রেম ঘটনাটা কত অহরহ ঘটছে! ভালো টিপস দিলেতো! এখন বলো শাসন কীভাবে করতে হয়? শান্তা হাসে বলে –এই ধরো ওর ভালোমন্দ নিয়ে ডাক দিলে, পড়ার জন্য শাসন করলে, অন্যায়ের জন্য বকা দিলে, আবার ভালোকাজের জন্য প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলে... ঠিক আছে, আমি তাহলে নেমে পড়ছি... দাঁড়াও আমাকে আবার ভুলে যাবে নাতো? শেষে দেখা যাবে স্বামী বন্ধু দুজনকেই হারালাম
শিমুল যায় আমিনের অফিসে ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছে মেয়েটি মেয়েটিই বলে- আমিন সাহেবের কাছে এসছেন? তাইলে আরও একঘণ্টা বসেন, আমি এসছি প্রায় ঘণ্টা হতে চলল..তার দেখা নেই মাঝে চা আর বিস্কিট পাঠালো, তা ওভাবেই আছে রিসিপশনে একবার ফোন দিয়ে বলেছে তার রুমে বিদেশি মেহমান আছে, একটু যেন অপেক্ষা করি.... হতে পারে! আজ হয়ত একটু বেশি ব্যস্ত! আরে বলেন কি? গত এক সপ্তাহে এই একবার দেখা করার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেলাম প্রতিমুহূর্তে সে ব্যস্ত মাঝে মাঝেতো ফোনই ধরার সময় পান না আপনি কে বলুনতো, আমিন সাহেবের কাছে কাজটা কি? কিছুই না এমনি ফোনে সে প্রায় অনুযোগ করে আমি নাকি তাকে ভুলে গেছি ফোন টোন দেই না এইসব! সে অবশ্য বিশেষ দিন টিন এলে ঠিক মনে করে ফোন দেয় আবার অফিস শেষে গাড়িতে বসেও ফোন দেয় যতো কথা তার ফোনে বাস্তবে তার সময় এতটুকুও নেই আপনার কথাশুনে মনে হচ্ছে আপনি তার ঘনিষ্ঠ কেউ, তাহলেতো তার বাসায়ও যেতে পারেন! বাসায় তার বউ আছে যে! তাতে কি? আরে মেয়েমানুষটার দারুণ সন্দেহবাতিক ডায়ালে আমার নাম্বার দেখে নাকি সেদিন ঝগড়া বাধায় রাতে না খেয়ে থাকতে হয় বেচারার কী ব্যাপার! কাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? ও এতোক্ষণে সময় হলো?... উফ! আরেকটু বেেসা শিমূল ! চালিয়ে যাও পরিচয় হয়েছে না? করে নাও আমি আসছি আর কতক্ষণ? এইতো আসছি.. অবস্থা মনে হয় ভয়াবহ একনজর দেখা দিয়ে গেলো মানে আরও দেরি হবে সে যাক আপনি শিমূল? কী করেন? জ্বি, একটা ব্যাংক এ আছি আপনি? আমি নাসরিন সুলতানা উকিল হবার চেষ্টা করছি ফাইন ডাক নামটা প্লিজ? ওটাতো সবাইকে বলি না! ওটা আমার ঘরোয়া নাম ঘরের লোকেরা ব্যবহার করে এমনিতে আপনি সহজে ডাকতে চাইলে নাসরিন বলতে পারেন থ্যাংকস তাতেই চলবে তারপর চুপচাপ দুজনেই কিছুক্ষণ পর মেয়েটা বলে- পরিচয়ের আগেই যেন আলোচানাটা ভালো জমেছিল... তাই না? হ্যাঁ তাইতো! এখনতো আর কথাই খুঁজে পাচ্ছি না আমাদের অবশ্য কথা খুঁজে বের করতেই হয় পেশাটাই এমন! আমার পেশাও কিন্তু কথা বলার, লোক পটানোর তাই নাকি? কই ব্যাংক এর লোকেরাতো কথাই বলতে পারে না সময়ই পায় না গ্রাহক সামলাতে সামলাতে... ওতো সাধারণ গ্রাহকদের বেলায় আমার কাজ ইনভেস্টমেন্ট শাখায় কথাতো বলতেই হয় পারলে যেন গ্রাহকের পাও ধুয়ে দিতে হয় এমন অবস্থা তাই? দিয়েছেন নাকি কারও পা ধুয়ে? উপায় কি? হেড অফিসের নির্দেশ, যে করেই হোক ইনভেস্ট বাড়াতে হবে ধরেন আমাদের একজন গ্রাহক আছেন যে একাই ২০০কেটি টাকা নিয়েছেন আর কোনও গ্রাহক না হলেও চলে কিন্তু এই লোক যদি কোনও কারণে চলে যতে চায় আমাদের কোনও সিস্টেমে তখন সিস্টেমেতো আর রদবদল করা যায় না, বাংলাদেশ ব্যাংক যেমন খড়গ হস্ত এখন তখন ভালো ব্যবহার অয়েলিং ইত্যাদি দিয়েই ক্লায়েন্ট, পার্টনার ধরে রাখতে হয়...
আচ্ছা! আমাদের গল্প আর কতক্ষণ চালাতে হবে? যতক্ষণ না সে আসছে! আর যতক্ষণ না আমরা বিরক্ত হয়ে উঠে যাচ্ছি, দুজনেই হাসে কারও মাঝেই বিরক্তের ছাপ নেই যেন এমন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার জন্যই তাদের আসা আপনার ভিজিটিং কার্ডটা পেতে পারি? নিশ্চই! এই নিন ব্যাংক এর লোকদের অনেক ব্যস্ততা, আপনি সময় পান কী করে? আমিন ভাই আমার ক্লায়েন্ট! ক্লায়েন্ট সংগ্রহ এবং তাদের সন্তুষ্ট রাখতে অনেক সময় ব্যয় করতে হয় আমাদের আমিন ভাইদের কোম্পানির সঙ্গে লেনদেনটা বেশ মোটা অঙ্কের! তার মানে আপনি আপনার অফিসিয়াল কাজে এসছেন, নিজের স্বার্থে? অবশ্যই! আমি কিন্তু... কোনও স্বার্থে আসেননি? না সেসব কিছু না, আমি এসছি আসলে স্্েরফ দুচারটে কথা বলতে আর একটু সময় কাটাতে ঢাকাতে একদম একা হয়েগেছি দুচারজন যা পরিচিত আছে তারা সবাই ভীষণ ব্যস্ত প্রায় প্রতি উইকেন্ডে কারও না কারও সঙ্গে সময়টা পাড় করে দেই আর যে সপ্তাহে কাউকে না পাই সারাদিন বাসায় বসে মন খারাপ করে বসে থাকি থাকেন কোথায়? আর কোথায় ! সেগুনবাগিচায় একটা ফ্লাট বাসায় সাবলেট আছি খুবই বিরক্তিকর! সাবলেট থাকার মতো বিশ্রি কোনও ব্যাপার আর হয় না একা থাকতে সমস্যা কি? সেটাও কি সম্ভব? একটা মেয়ে একা একটা বাসা নিয়ে কী করে থাকে? এতো বড় বাসা, ফাঁকা... আর ভাড়াওতো কম নয় কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি? বলুন! এতক্ষণেও বোঝেন নাই আমি কী ধরনের? হাড়ির খবর সব অপরিচিত একজন মানুষের সঙ্গে শেয়ার করছি, মাইন্ড থাকলে তা কি করতাম? তা ঠিক! আপনি অনেক সরল ভেতরের অনেক কথাই অবলীলায় বলে ফেলছেন এতে কিছু যায় আসে না মাইন্ড নিয়া বসে থাকলেই মানুষ ভদ্রলোক হয় না মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করাটাও মনুষ্যত্ব! আপনাকে দেখেই বোঝা যায় আপনি নিরাপদগোছের একজন মানুষ!... আচ্ছা বলুন কী যেন জিজ্ঞেস করতে চাইলেন? না মানে, সাবলেট থাকছেন তাই ভাবলাম আপনি অবিবাহিতা, তো বিয়ে করে নিলেই ঝামেলা চুকে যায় দুজনে চুটিয়ে সংসার করবেন করবো প্রাকটিসটা শেষ হোক ওকালতির লাইসেন্সটা পেয়ে যাই তারপর! কার আন্ডারে আছেন? সোহরাব সাহেবের, চেনেন? নেতা সোহরাব? লক্ষ্মীবাজার বাসা? হ্যাঁ আপনিতো দেখছি সব চেনেন ব্যক্তিগত পরিচয় আছে? টুকটাক! অনেক আগে ছিল এখন আর চিনবেন কি না কে জানে তার ছেলের সঙ্গে খাতির ছিল মেয়ের সঙ্গে ছিল না? মেয়ে? মেয়ে আছে বলেতো মনে পড়ে না! আছে আছে হ্যাভি সুন্দরী একটা মেয়ে আছে! বাইদ্য বাই, আপনি বিয়ে করেছেন? ঘাড় নেড়ে নেতিবাচক উত্তর দেয় শিমূল ফাইন! আপনি চাইলে আমি আপনার ঘটকালিটা করতে পারি এসবও করেন নাকি? করিনি , শুরু করবো ভাবছি! তবে ইলোপকেস হলে বেশি ভালো পয়সা বেশি আপনি প্রেম করেন? না, করি না একটা প্রেম প্রেম ভাব ছিল, আমি বলার আগে মেয়েটা আমাকে বন্ধু বলে দূরে সরিয়ে দেয়, এবং অন্য একজনকে বিয়ে করে ফেলে স্যাডকেস! আমার কিছু করার নেই প্রতারণার মামলা চলবে না মন ভাঙার মামলা করার বিধান আছে? তা নেই, তবে ... তবে আপনি যদি মেয়েটার বিরহে আত্মহত্যা করতেন সে ক্ষেত্রে.... না না তাইলে আর দরকার নাই আত্মহত্যাকে ভয় পান? তা হয়ত পাই, আসলে সেরকম প্রেম আমি করতে পারিনি মেয়েটাকে আমি পাইনি তার জন্য আমার তেমন দূঃখ নেই প্রথম প্রথম খুব কষ্ট পেতাম, যখন দেখলাম, না ও আগের মতোই আছে এবং সত্যিই আমাকে এখনও বন্ধুই ভাবে, ভালোবাসে তখন এরচে বেশি পাওয়ার চিন্তা আর আমি করি না ভালো, খুব ভালো পবিত্র,স্বচ্ছ, সুন্দর সম্পর্ক আরেকটা প্রেম করেন করবেন? করবো পছন্দের একটা মেয়ে আছে আমার সেই মেয়ে বন্ধুটা দেখে দিয়েছে মেয়েটা নাকি বিশাল ধনী এই নিয়ে খুব টেনশনে আছি আমারতো চাল-চুলোনেই অবস্থা ধনী মেয়েরা সবাই কিন্তু খারাপ না তবে আপনার কোনও লোভ নেইতো? না, নেই, কেন? যাক যৌতুকের কেস থেকে বেঁচে গেলেন নতুন ওকালতি প্র্যাকিটিস করছেনতো! মাথায় শুধু কেস ঘুরপাক খায়, তাই না? হু! আপনিও কিন্তু বৈষয়িক চিন্তা করতে পারেন ধনী মেয়েটা, মানে ওর বাবা কিন্তু আপনার ব্যাংক এর ক্লায়েন্ট হতে পারে তাইতো! লোন স্যাঙ্কশন করাতে পারলে কমিশন পান নাকি? তাতো আছেই! লাখে কতো? মানে রেট কেমন? এটাতো ব্যবসায়ী সিক্রেট, বলা যাবে না ঠিক আছে ঘুষের দিকে নজর কেমন? ধরুন যার ফেভারে লোন করালেন সে খুশি হয়ে... নাহ! এদিকটা আমরা করি না তবে পার্টি মাঝে মাঝে কিছু পাগলামি করে বসে যেমন ধরুন একটা গার্মেন্টস ফ্যাকটরির লোন করালাম তারা স্বেচ্ছায় কিছু পোষাক ব্যাংক এর নামে উপঢৌকন হিসেবে পাঠিয়ে দেয় এটা না নিলে সম্পর্ক খারাপ হয় আর পার্টির সাথে অসন্তোষজনক আচরণতো করাই যায় না দুর্নীতির কেসটাও করা গেলো না আমার বিরুদ্ধে কেস না করে আমিন ভাইকে ফাঁসিয়ে দেনতো লোকটা আমাদের মতো দুজন গুরুত্বপূর্ণ লোককে বসিয়ে রেখে অনেক সময় অপচয় করেছে... এতে দেশেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে... হয় না মামলা? হ্যাঁ হতে পারে, তবে মামলা আপনাকে করতে হবে, লড়াই করবো আমি কার পক্ষে? আমার না আমিন ভাইর? আপনার পক্ষেই! না ভাই এতো বড় ভুল করা সম্ভব না বিবাদীর লোককে নিয়োগ দেবো বাদীর আইনজীবী হিসেবে, তাতো হয় না
হ্যাঁ চলো তোমাদের অনেক কষ্ট দিলাম না না কী যে বলেন, বরং আপনারই কষ্ট হলো তাড়াহুড়ো করে হাতের কাজ শেষ করতে হলো খোঁচা পরে মাইরো খাবে কি বলো? তোমার পকেটে টাকা আছেতো? নাকি বউ কেড়ে রেখে দিয়েছে? যাতে মেয়েদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা না মারতে পারো হয়ত তাই করবে বিয়ে যে কতো বড় সর্বনাশের একটা কাজ! এই কাজটা তোমরা করো না প্লিজ! জীবনে কোনও স্বাধীনতাই থাকবে না এই যে দেখছ, শান্তা, ও আমার ছোটবোনের মতো ও ঢাকাতে একা একা থাকে, সাবলেট থাকে অন্যের সাথে কখন কী হয় কে জানে! আমিকি পারতাম না ওকে আমার বাসায় নিয়ে রাখতে? কিন্তু সাদিয়া সেটা কোনওভাবেই মেনে নেবে না শিমূল শান্তা নামটা শুনে অবাক হয় এই মেয়েটার কথাইকি তাহলে... ভালোই হলো পরিচয়টা হয়ে গেলো
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন