shironam

ভেসে যাও আনন্দে
২০ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ৯:৫৮
আজ আনন্দে ভেসে যাও তেপান্তরে, অন্তর্লীন হওঅন্তহীন বালুকাবেলায়, আজ হারিয়ে যাবার দিনফুর্তিতে মেতে ওঠো সারা পাড়াময়।আজ তোমার জন্মদিন! আজ একপশলা বৃষ্টির জন্মদিনএকটি বৃক্ষ আর পাঠশালার...আজ অপরিমিত কথা বলো যখন তখন! যারতার সাথেহাসো সবকিছূতে,ঢঙ করে কথা বলো, ন্যাকুমু হলেও। আজতোমাকে অ্যাসলট করার অধিকার নেই কারও! আজ তোমাকেমুডঅফ করবে না কারও বাণী!আজ শুধুই তোমার, তোমার ইচ্ছের অবাধ সন্তরণের দিন...আজ হারিয়ে যেতে অদম্য হোক তোমার প্রত্যয়...আমি তাই চাই। একটি দিন হোক অন্তত সর্বাঙ্গে স্বাধীন....আমিতো চাই!

অন্যায় হয়ে গেছে?
১১ ই আগস্ট, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৬
কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পর্বটা চুকে গেলে অনেকদিনের জন্য কোথাও বেড়াতে বের হবো। সেটা আর হলো না। বিশেষভাবে ইচ্ছা ছিল চিটাগং যাবো। তাও আর হলো না। চিটাগং মানে সেই বাঁশখালি যাবো, লাল জীবন যাবো, উখিয়া যাবো, কক্সবাজার যাবো, চ.বিতে যাবো... ষোলশহর, হালিশহর যাবো।... বেশিদিনের জন্য কোথাও যাওয়া হয়নি, তবে চিরদিনের জন্য কোথায় যেন চলেগেছি। আমার সবচে প্রিয় এলাকা ছিল যশোর, আশরাফুলের জন্য আর সবচে অপ্রিয়-র তালিকায় ছিল ফরিদপুরসহ আরও কিছু এলাকা যাদের নাম বললে ফোঁস করে উঠবে সবাই। অথচ সেই ফরিদপুরের সঙ্গেই কী যেন এক যন্ত্রণায় জড়িয়ে গেলাম।উখিয়ায় জীবনে একবার গিয়েছি, একরাতের জন্য। উখিয়া যাওয়া খুব বেশি সহজ নয়। বেশ কষ্ট হয়েছিল। তবু সেখানকার মানুষকে কথা দিয়েছিলাম আবার আসবো।... কথা আমি রাখতে পারিনি, এখন সেখানকার পট সম্পূর্ণ আলাদা। আমরা যে বাসায় গিয়েছিলাম তার পাশের গ্রামেই তখন ঘটেছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা। ওখানকার প্রভাবশালী এক মেম্বার বা চেয়ারম্যান ক্ষমতাসীন বি.এন.পির আশ্রয় নিয়ে নিজ স্ত্রীকে খুন করে পাড় পেয়ে যায়, সকালে উঠে আমরা ঘটনাটা শুনি। এবং এও শুনি যে লোকটার কোনও বিচার হবে না। কারণ সে একাজ এর আগেও করেছে। সে বি.এন.পি.র চামচা। আইন আদালত তার কথায় চলে।... আমার ইচ্ছে হচ্ছিল গ্রামের মানুষের এই ধারণাগুলো চেঞ্জ করাবো। কোথাকার কোন ছমিরুদ্দি বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে অন্যায় করে যাবে? আর সবাই তা সহ্য করবো? দেখি নেতারাযে বড় বড় বক্তৃতা করে তারা কিছু করে কি না। ঢাকায় এসে সেসব ভুলে গেলাম। ভুলে গেলাম সেদিন তাদেরকে দেয়া কথা যে দেখবেন, বিএনপি হোক আর আ'লীগই হোক কোনও হত্যাকারী পার পাবে না।... আমার সঙ্গে সত্যিই কিছু মিডিয়ার লোকের পরিচয় ছিল। ভেবেছিলাম তাদের দিয়ে একটু চাপ সৃষ্টি করা যাবে। পারিনি। ওরা আমাকে হতাশ করেছে। ওরা বলে উল্টো খবর। এরকম হত্যাকাণ্ড গ্রামেগঞ্জে,গলি-ঘুপচিতে হরহামেশাই হচ্ছে কী হয় এসেব লিখে?.....তত্বাবধায়ক সরকার আসার পর সেসব নেতা-নেতৃরা যখন জেলে পচতে শুরু করলো তখন ভেবেছিলাম যে সেইসব দুখী মানুষদের কষ্ট লাঘব আর বিচারের অধিকার ফিরে এলো। কিন্তু সেই সহজ সরল নিপীড়িত মানুষগুলিই আবার সেই চিহ্ণিত খুনী- ডাকাতদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।....আওয়ামী লীগের আমলতো ছিল আরও ভয়াবহ। বিএনপির আমলে তবু সাহস করে বলথাম যে এর একটা বিচার নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। আর আওয়ামীদের সময় ভয় পেতাম যে এই প্রতিবাদী কণ্ঠের উসিলায় না জানি কী করে বসে। সেই কমিশনারের মতো; যে আমার মায়ের সাজানো বাগান থেকে তার প্রিয় প্রিয় গাছগুলো কেটে নিজের বাড়ির সুন্দর সুন্দর ফার্নিচার বানায়। নিজের সেভেনে পড়ুয়া মেয়েকে দিয়ে জালভোট দেওয়ায়। রিক্সাঅলাদের বউদের ধরে এনে রাত্রি-যাপন করে।....আবার তারাই এই সরকারের আমলে নির্বাচিত হয়ে এলো ক্ষমতায়। সরকার সুযোগ দিয়েছিল জনগণ কে, তারা রায় দিয়েছে। তারা প্রমাণ করেছে তাদের জন্য ওইসব কুলাঙ্গারদেরই দরকার! তারা নির্যাতিত হতেই জন্মায়...


মেয়ে দার্শনিক!
০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৭
মরণ ফাঁদের মিষ্টি আর দই খেয়ে আমি আসছি অফিসে... আর জাকির গেল একটু ইয়েকে, মানে ওর বন্ধু হুমায়ুনকে আনতে। আসার পথেই দেখা সেই দার্শনিকের সাথে। রাস্তায় বসে যেন কী করছে সে। অনেক পুরনো কাঁথা -কাপড় আর টুপলি টোপলা নিয়ে তার কারবার! হাতে একটা কলা। কলাটা ছিলে সে তার ময়লা কাঁথা-কাপড়ে মুছে মুখে তুলে নিল।... মহিলাটাকে আমি দীর্ঘক্ষণ দেখছি। মহিলাটা আমার দিকে একবারও তাকাল না! এমন সুপুরুষের দিকে তার তাকাবার যেন কোনও দরকার নাই!.. দার্শনিক ছাড়া কে পারে আর এমনভাবে উদাসীন হতে?..আমিও ছাড়বার পাত্র নই। এরা মানুষ পেলে মানুষকে অগ্রাহ্য করতে পারলেই যেন এদের স্বভাব পরিপূর্ণ হয়। কিন্তু আমিতো ছাড়ব না! আমি জানি, আরেকজন দার্মনিকের কথা; যে আমি যদি কারও দিকে একদৃষ্টে একমিনিট তাকিয়ে থাকি সে একবার হলেও এদিকে দৃষ্টি ফেরাবে।... যদিও এটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের ক্ষেত্রে প্রোযোজ্য! তবু আমি এইক্ষেত্রে প্রয়োগ করলাম।...গতকালও এই প্রয়োগটি চালিয়ে সফল হয়েছি। এক বন্ধু; বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়েছি। সাবজেক্ট ভিন্ন ছিল। এক হলে থেকেছি... অথচ ওকে দেখে আমার নাম মনে পড়ছে না... এখন ডাকি কী করে? গাড়ি থেমেছে তালতলায়, অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে। তাদের একজন আমার সে বন্ধু। আমি এই এই বলে ডেকে পাগল হতে চাই না, অপেক্ষা করলাম একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলাম! শেষপর্যন্ত ও তাকাল। এবং যখনই বলল কীরে দোস্ত!আমারও মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো জাহিদ তুই!ও আই.ডি.বি/আবহাওয়া অফিসে মেইনটেনেন্স ইঞ্জি:। ভালোভাবে শুনতে পাইনি। গাড়ি ছেড়ে দিল।..........কিন্তু অবাক হলাম আই লেবেল ঠিক হওয়া মাত্র নামটা মনে পড়ল?...যাইহোক! আবারও অন্যদিকে যাচ্ছি...........তো মহিলাটার দিকে তাকিয়ে থেকে সাফল্যর আশা করছি, পেলাম না, সে আমার দিকে তাকাল না। হয়ত নিজেকে বিব্রত করতে চাইছে না। তবু আমি অপেক্ষায়ই থাকলাম। একসময় সে এদিক ওদিক তাকাল মুখ তুলল, ঘুরালো। মুখটা দেখে চেনা চেনা মনে হলো! খুঁজতে লাগলাম মনের ভেতর। একেও কি জিজ্ঞেস করা যায়? যে সে আগে কোথায় ছিল? না থাক। নিজে নিজে চেষ্টা করি। একসময় পেলাম। আমাদের ইউনিভার্সিটির এক ম্যাডাম! সবাই বলতো পাগলি ম্যাডাম। আমিতো তাকে সহ্যই করতে পারতাম না, বন্ধুরা আমাদের পাগল বলে, তোদের ম্যাডাম পাগল এই বলে রাগাত।কিন্তু ফাইনাল ইয়ারে এসে সেই ম্যাডামেরই ক্লাস পেলাম। প্রথম ক্লাসেই বাম্পার শট! এতো সুন্দর তাঁর উচ্চারণ! আর পড়ানো ভালো। তারচে বড় কথা অত্যন্ত মেধাবী তিনি। শুধু চলা ফেরাটা পাগলাটে। কখন কোথায় থাকেন কী খান কিছু্ই ঠিক থাকে না। এতোবড় একটা ঝোলা ব্যাগ, তাতে থাকে বই। আবার হাতেও থাকে এতগুলো বই।তার আত্মীয়-স্বজনরা সব থাকে বিদেশে। সেও ছিল। পিএইচডি করে দেশে ফিরে এসেছে। বাইরের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের টীচার ছিল, সেই চাকরি ছেড়ে চলে এসেছে বাংরাদেশে। তার পরিবারের কেউ দেশে ফেরেনি। সবাই বাইরে স্টাবলিশড। দেশে ফেরার সময়ই ভাইরা তাকে পাগল বলে আখ্যা দিয়ে দিয়েছে। কারণ কে পারে সোনার দেশ আমেরিকা ছেড়ে এই বাংলাদেশে চলে আসতে? পাগল না হলে?বিয়ে থা করেননি। একা একা জীবন-যাপন আর জ্ঞান সাধনায় আত্মনিয়োগ করে তিনি তার পুরো জীবনটা কাটিয়েছেন।অপ্রকৃতিস্থ চলাফেরার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাসপেণ্ড করে। একটু সুস্থ হলে বিনাবেতনে পড়ানোর সুযোগ চান। এরপর যখন সুস্থ থাকেন ক্লাস নেন। আমরা পড়েগেলাম বিপাকে। ক্লাস কে নেবে, পরীক্ষার প্রশ্ন কে করবে, ম্যাডামের আদৌ কী পড়িয়েছেন তা মনে থাকবে কি না, প্রশ্ন উল্টাপাল্টা করেন কি না ইত্যাদি!আর যারা তেলের বিদ্যায় বিশ্বাসী তারা ভাবতেন একেতো তেল দিয়ে ভিজানো যাবে না। তাহলে খেলার নামে অ্যাসাইনমেন্ট-টিউটোরিয়াল না দিয়েও নাম্বার পাবো কীভাবে? দলীয় পরিচয়ে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পাওয়াওতো সম্ভব না!...যে কারণেই হোক ম্যাডামকে আমার মনে ধরলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকী টিচারদের মতো ফাঁকি তিনি দেন না। এই উসিলায় সেই উসিলায় ক্লাস কামাই করেন না। যা পড়ান নিজে পড়ে এসে নোট করে এনে পড়ান। সিলেবাসে তার নিজের লেখা বইও আছে, সেখান থেকেও বুঝিয়ে পড়ান।একদিন ক্লাসে বোর্ডে লিখতে লিখতে হঠাৎ মনে পড়লো নোটটা সে তার টেবিলে রেখে এসছেন,একজন গিয়ে একটু নিয়ে আসোতো!আমি বরাবরই সামনে বসতাম এবং কর্ণারে। আমি উঠতে যাচ্ছি, ম্যাডাম বললেন তুমি না, অন্য কেউ যাও! তোমারতো পায়ে ব্যাথা!আমি হতবাক! ম্যাডাম কী করে জানল আমার পায়ে ব্যাথা! আর মনেই বা রাখল কী করে?ম্যাডামকে পাগলি না বলে দার্শনিক বলা উচিৎ। আমাদের আরেক প্রবীণ টিচার বলেছিলেন। তার চিন্তন এতো প্রখর এবং অকাট্য যে কেউ ফেলতে পারে না।একবার আমার অ্যাসাইনমেন্ট পড়ে তিনি আমাকে তার চেম্বারে ডেকে পাঠান! কী করে নিশ্চিত হলেন আমিই হবো?বললেন অনেক উৎসাহব্যঞ্জক কথা! তবে আমাকে আরও যত্নশীল হতে হবে। এবং সে জন্য তিনি আমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন!...আজ রাস্তার এই পাগলিকে দেখে সব মনে পড়ে গেলো।.. তবে এ যে সে নয় তা নিশ্চিত। কারণ আমার সেই ম্যাডাম আমরা থাকতেই মারা গেছেন। তবে এরপর থেকে আর কাউকে আমি পাগলবা পাগলি বলতে পারি না। প্রত্যেককেই মনে হয় এএকজন দার্শনিক!যারা প্রকৃতি-পৃথিবী মানুষ সমাজ ইত্যাদির ঘাত-প্রতিঘাতে এমনই কোনও শিক্ষা পেয়েছেন যা পুরোপুরি ধারন করতে না পেরে ইমব্যালান্স বা অ্যবনরমাল হয়ে গেছেন।রাস্তার মহিলাটি উঠে আমরা যে দোকানে চা খাবো প্ল্যান করে রেখেছিলাম সে দোকানে এলো চা খেতে। জাকিরও ফিরে এলো। ওর বন্ধুসহ। ও চায়না চা খেতে। হয়ত দার্শনিকটার কারণে...আমরা চা না খেয়ে চলে আসছি...মহিলাটা পেছন থেকে ডাকে এ্যাই! এ্যাই!চায়ের কাপটা বাড়িয়ে দেখায়!ও কী করে বুঝল ওকে দেখেই আমরা......


থেমে থেমে চলা...
০৮ ই আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৮
থেমে থেমে চলা..থেমে থেমে বলা... দার্শনিকের কাজ বা স্বভাব। আজ এক মেয়ে দার্শনিকের সঙ্গে রাস্তায় দেখা! অফিস থেকে বেরিয়ে একটু মেনটাল রিফ্রেশ এর নামে কিছু খেতে ঢুকলাম মরণচাঁদ এ, সঙ্গে এডিটর জাকির; ফ্রেশার হিসেবে জয়েন করলেও ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে। ওকে মেন্টালি রিফ্রেশ রাখতে পারলে তিনঘণ্টার কাজ ১ঘণ্টায়ও পাওয়া যায়। তাই সময় যতই নষ্ট হোক সময় বাঁচাবার জন্য ওকে সাথে করে নিচে নামলাম।...ভুমিকাটা ধরে নিন এইটুকুই। অবশ্য আরেকটু বললে বলা যায়...মরণ চাঁদ যে মিষ্টির দোকান এটা হয়ত সবাই জানেন, কিন্তু এই মরণ চাঁদ যদি মরণ ফাঁদ হিসেবে আসে আপনার জীবনে, তখন?মিষ্টিই অফার করলাম! অনেকদিন থেকেই শুনছি বেতন বাড়বে বাড়বে সেটা ৬মাসের বদলে নয়মাসে এসে বাড়লেও বেড়েছে, সুতরং মিষ্টি খাওয়া যায়। বড় বড় দেখে দুইপিস মিষ্টির অর্ডার দিলাম।...জাকিরকে বললাম দউ খাবি?ও প্রথম বলে, না, এমনিতেই ঠাণ্ডার ভেতর থাকি, তার উপর চিটাগং থেকে ফিরছি ঠাণ্ডা নিয়ে, আর দরকার নাই। এটাই বোধয় ভালো ছিল। কিন্তু একটু পর বোধয় ওর মনে দউ খাবার ইচ্ছেটা চাগিয়ে উঠলো, বলল দই খেতে পারি একটা শর্ত আছে-দামটা আমি দেবো।কেন?দেবো! রাজি থাকলে অর্ডার দেন!সে দেখা যাবে! বলে অর্ডার দিলাম।দুই প্লেটে মোটামুটি পরিমাণের দই এলো। ভাবলাম সব জিনিষের দাম বেড়েছে দেখি দইয়ের অবস্থা কি?লোকটা বলে কেজি ১৪০/=এখানে কতটুকু আছে? ১০০গ্রামের বেশি।তো একশগ্রামের দাম ১৪টাকা, তার বেশি হলে দাম কেন ২৫ টাকা বললেন? শেষে আবার ডেকে মাপতে বললাম। মাপে ২৫০গ্রাম হলো। দাম পড়ে ৩৫টাকা করে। বুঝুন অবস্থা! মরণচাঁদ এবার ৩৫টাকা করে বিল না নিয়ে ছাড়বে না। অতপর!ভদ্রলোকরা বিপদে পড়লে যা করে আরকি!তাই করলাম...কী করলাম?দাড়ান মহিলা দার্শনিকের প্রসঙ্গে আসছি... তার আগে র্ভমিকাটাই একটু চিবোতে থাকেন।...আসছি...

জীবন-যুদ্ধের এক নির্দয় গল্প!
২১ শে জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:১৫
জীবন-যুদ্ধের এক নির্দয় গল্প!এ বিশ্ব চরাচর বড়ই নির্মম। নিয়তি কারও জন্য কখনও খুব নির্দয় হয়ে দেখা দেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন টিপু বাস্তবতার এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে আজ শয্যাশায়ী। জীবনে বহুবার জ্বর হয়েছে। তিন-চার দিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। সামান্য প্যারাসিটামল ডোজেই সেরে উঠেছে। সেদিন হঠাৎ খুব জ্বর এলো! এবারের জ্বর কেমন যেন ব্যতিক্রম! ৭ দিন পার হওয়ার পরও সারছে না; দেখে বন্ধুরা জোর করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। নানা পরীা-নিরীা আর ডাক্তার বদল করেও অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না দেখে ঘাবড়ে গেল বন্ধুরা। নানা শঙ্কা মনে দোলা দিচ্ছিল। অবশেষে ২৩ জুন ০৮ তারিখে বাংলাদেশের খ্যাতিমান রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এম এ খান নিশ্চিত করলেন ভয়ঙ্কর ‘এপ্লাষ্টিক এনিমিয়া’ রোগ বাসা বেঁধেছে জামালের শরীরে। বাবা আহমদ করিম ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নস্থ কাতালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক। ৭ ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্ট করে জীবন-ধারণ ও পড়ালেখা চালিয়ে নেয়ার সংগ্রামে অবতীর্ণ তিনি। জামাল উদ্দিন তার বড় সন্তান, ছোট বেলা থেকেই মেধার স্বার রেখে আসছিলো সে। ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিমে ১ম বিভাগে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের পর ভর্তি হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমাজতত্ত্বে অনার্স ও মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন শেষে ২০০৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে যোগদান করে জামাল। শিক পিতার মনে কিছুটা স্বস্তি আসে। ৪ ভাই ২ বোনের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে বাবার পাশে এসে দাঁড়ায় সে। চাকুরী হওয়ার পর থেকেই স্নেহময়ী মা বড় ছেলের জন্য পাত্রী দেখছিলেন কিন্তু ছোট ভাই-বোনদের কথা ভেবে জামাল নিজের সংসার গড়ার চিন্তা করতে পারেনি। “আর একটু দেরি কর মা, ছোট বোন রাশেদার বিয়েটা আগে দিয়ে দেই। ছোটভাই হাসান সবেমাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে। সে এস.এস.সি পাশ করলে তাকে ঢাকায় ভালো কলেজে ভর্তি করাবো।” বিয়ের প্রসঙ্গ তুললে মাকে নানান স্বপ্নের কথা শোনাতো সে। আজ সব স্বপ্নই ফ্যাকাসে হয়ে গেছে দরিদ্র পিতা-মাতার । বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয় স্বজনের যে কোন প্রয়োজনে জামাল ছিল নিবেদিত প্রাণ। তাই এ মহা বিপদের দিনে সবাই আজ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী এবং ছাত্রজীবনের বন্ধুরা সাহস করে প্রথম তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরবর্তীতে আর্থিক দৈন্যতার জন্য স্থানান্তর করতে হয় গ্রীন লাইফ হাসপাতালে। বাংলাদেশের বিখ্যাত অনকোনলজিষ্ট প্রফেসর মঞ্জুর মোর্শেদ শেষ পর্যন্ত মানবিক বিবেচনায় জামালকে ফ্রি চিকিৎসা দেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (পিজি হাসপাতাল) ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। কিন্তু ততদিনে তার রক্তের প্লাটিলেইট নেমে যায় অনেক নীচে। গত ২৬ জুন থেকে জামালের শরীরের অভ্যন্তরে রক্তরণ শুরু হয়। বাংলাদেশের বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থায় আর তাকে সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ডাঃ মঞ্জুর মোর্শেদ নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ করেন উপমহাদেশের শীর্ষ অনকোনলজিষ্ট প্রফেসর ডাঃ মোমেন চ্যান্ডির সাথে। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে চিকিৎসকগণ মতামত দেন জামাল উদ্দিন কে বাঁচানোর একটাই উপায় ইড়হব গধৎৎড়ি ঞৎধহংঢ়ষধহঃধঃরড়হ এবং এ চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে পাঠাতে হবে মাদ্রাজে। পিতা-মাতা-আত্মীয়, স্বজন ও বন্ধু মহলের মুখ পাংশু হয়ে যায়, কারণ পুরো এ চিকিৎসা খুবই ব্যয়সাধ্য , যার আনুমানিক পরিমাণ প্রায় ৪০-৪৫ ল টাকা। দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন সবাই। চোখের জলে বুক ভাসিয়ে প্রিয় সন্তান বা বন্ধুর তিল তিল মৃত্যু কীভাবে সইবেন তারা ? সন্তানদের পড়াশোনা এবং বড় মেয়েকে পাত্রস্থ করতে গিয়ে ইতোমধ্যে সামান্য সম্পত্তি যা ছিল প্রায় সবই বন্ধক রেখেছেন দরিদ্র শিক আহমদ করিম। ভিটা বাড়ি সব বিক্রী করলেও হাতে আসবে অতি সামান্য কিছু টাকা। ‘আমার কিছু দরকার নেই- ভিা করবো, তবুও আমার যাদুকে তোমরা বাঁচাবার চেষ্টা করো’। মায়ের এ বুকফাঁটা আকুল মিনতির কাছে চোখের পানি আটকে রাখা কঠিন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ তাদের অর্ধদিনের বেতন প্রদান করেছে জামালের চিকিৎসার জন্য। আপাততঃ যা সংগ্রহ হয়েছে তা দিয়ে গত ১৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকর্মী এবং ছোটভাই জহিরসহ জামালকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে মাদ্রাজস্থ ভেলোর খ্রীষ্টান মিশনারী হাসপাতালে। ১৫ জুলাই থেকে প্রফেসর ডাঃ মোমেন চ্যান্ডির তত্ত্ববধানে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ছেলের চিকিৎসার জন্য অর্থের সংস্থান করতে এখন তার পরিবার পাগলপ্রায়। বন্ধুরা বিভিন্ন ব্যক্তি এবং মানবিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন পাঠিয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। সহযোগিতা গ্রহণের জন্য জামাল উদ্দিনের নামে একটি ব্যাংক হিসাবও খোলা হয়েছে। সঞ্চয়ী হিসাব (মুদারাবা ) নং-৬৭৩৪৭, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ লোকাল অফিস, মতিঝিল ঢাকা। এ সমাজে মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে লড়াই সংগ্রাম করে । জামাল, তার পরিবার এবং সুহৃদরা লড়াই করছে এক মরণ ব্যাধির বিরুদ্ধে। নিভু নিভু প্রদীপটা জ্বালিয়ে রাখার লড়াই। একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু আমরা দেখতে চাই না । যারা সুন্দর স্বপ্নকে ভালোবাসেন, হাত বাড়িয়ে দিয়ে অপরের বিপদে সাহায্যের সাথী হতে চান তারা এবং আমরা সবাই মিলে আসুন জীবন-মৃত্যুর যুদ্ধে অসহায় শিক পরিবারের পাশে দাঁড়াই।

বৃষ্টি! ডাবল এস- এর জন্য
১২ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৪
তুমি নেই তাই আজবৃষ্টিকে করিনি কেয়ার,বৃষ্টি মাথায় এসেছি অফিসেও বলেছে হাউ ডেয়ার! ইউ আর?তুমি নেই তাই আজকরেছি দেরি খেতেতুমি আসবে না ভেবেসিনেমা নিয়ে ছিলাম মেতেতুমি নেই বলেতোমার উত্তাপবস্ত্র বেদখল হলোআমারই দ্বারাআমি ভেবে পাই না এটা কেনথাকতে চায় না তোমাকে ছাড়া!প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শিডিউলের ডাণ্ডায়বাইরে এসেছি আজপ্রচণ্ড সর্দিতে পণ্ড হয়েছেনষ্ট হয়েছে সব কাজ।তুমি নেই তাই ছুটিও চাইনি জ্বরেলেপ গায়ে দিয়ে পড়ে থাকিনি ঘরে।তবুও যা দেরি হয়ে গেছে তারঅগত্যাই আমি নিচ্ছি তার ভার।বুষ্টিকে দুষে, রাগে ক্ষোভে ফুঁসেচাই না মার্জনা কারওকষ্ট তোমায় করিয়েছি তাইগালি, বকা দিতে থাকো আরও।


১. ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:০৪
শীমুল শরীফ বলেছেন: নিকেচেন বালো। কিন্তুক কবিতা পইড়া মনে হয় যেন, উনি আর এই ধরায় নাই। ইন্নালিল্লাহ হইয়া গেচেন। তুমি নেই তাই আজবৃষ্টিকে করিনি কেয়ার - - -তুমি নেই তাই আজকরেছি দেরি খেতেতুমি আসবে না ভেবেসিনেমা নিয়ে ছিলাম মেতেপাঠকদের বলুন যে যারে নিয়া কবিতা নেকেচেন উনি বাইচা আছেন। না হইলে সবাই ভাববো যে সামনে তারা একটা জিয়াফতের দাওয়াত পাইবো।


সাবলেট! আপডেট!
০২ রা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:২৪
সাবলেট!না ভাই, এখনও পাইনি! দুশ্চিন্তার দুটিদিন পাড় না করতেই আরেকজন জুটেছে। সংবাদটা ভালো, তবে এবার একটি বড় বাসা খুঁজতে হবে। তবে সঙ্গের লোকটির চাহিদা অনেক। বাসা হতে হবে সাত হাজারের মধ্যে,ইনক্লুডিং অল। বিদ্যুৎ এবং যাতায়াত ব্যবস্থা হতে হবে ভালো। সেগুনবাগিচা হলে ভালো। পানির ডিস্টার্ব থাকা যাবে না। মোজাইক করা অর টাইলস ফ্লোর, ২য় বা ৩য় তলা হতে হবে। বেলকনি, ডাবল টয়লেটসহ তিনবেডের বাসা পেলে তাকে সাবলেট হিসেবে পাওয়া যাবে। আমি হাসি আর ভাবি চামে না পড়লে এমনই হয়, আর পড়লে...


বর্ষাকাতুরে!
০২ রা জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:২০
শেয়ার করুন:
বর্ষার হাতছানী কে না ভালোবাসে?বর্ষায় দুর্ভোগ তবু কে না হাসে?গাড়িটা থেমে গেলো, সি.এন.জি বলেমেশিনে ডিস্টার্ব,সর্দি হয়েছে জলে।ইটিভির অখিল, বুমমাইক হাতেনেমেছে নোংড়া জলে,দ্বিধা নেই তাতে।পাশে কিছু শিশুরা করছে জলে খেলাবাসায় গিয়ে তারা বুঝবে ঠ্যালা।রাস্তায় জমে যাওয়া পানিতেমানুষেরা আছে কি যে গ্লানিতে!আমি আছি চিন্তায় বাবুকে নিয়েদুদিন আগে এনেছি নিউমোনিয়ার টীকা দিয়ে।বর্ষার জল আসে আমাদের ঘরেপরিস্কার করে বেলা কেটে যায়, জানালার কাঁচ নড়ে চড়ে।আশ্রয় খুঁজে ফোন করি যতোএখানে সেখানে, বন্ধু ও বান্ধবসবতার গাইগুই আচরণ আ জ্জব!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.