৫০টাকার নোট
আজ গাড়িতে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। সামান্য ঘটনা। ৫০টাকা নকল নিয়ে ঘটনাটা। একলোক ভাড়া দিয়েছে ৫০টাকার নোট কন্ট্রাক্টর চ্যালেঞ্জ করে এটা নকল। লোকটি খেপে যায়, নকল তুই বুঝলি ক্যামনে? ভাই আপনে এইডা পাল্টায়া দ্যান। লোকটা এবার একটা ১০০টাকার নোট দেয়; নতুন। কন্ট্রাক্টর এটাকেও ভাবে নকল এবং সে অন্য নোট চায়। লোকটা বলে তোর কি মাথা খারাপ! যেইটা দেই সেটাই নকল, ফাজিল,বদমাইশ জাতীয় কমন কিছু গালি আওড়ান। অবশেষে ছেলেটা নোটটা নেয় এবং চুরাশি টাকা ফেরৎ দেয়।
ঘটনাটা এখানেই থেমে যায়। একটু পর কন্ট্রাক্টও ছেলেটা আমার সিটের কাছে আসে এবং ভাড়া চাইলে আমি বলি একটু পেও দেবো। এটা আমার ¯^fve! ঊরং সাবধানতাও বলতে পারেন। প্রায়ই শিক পরিবহণ রাস্তার মাঝখানে বন্ধ হয়ে যায়। টিকিট কাটা থাকে বলে ফেরৎ পাওয়া যায় না। একই কোম্পানির অন্য গাড়ির অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকে না। আর অন্যগাড়িতে ওঠা মানেতো সিট নাই, কোনও রকম দাঁড়িয়ে যেতে হয়। আর ভাড়া দেওয়া না থাকলে নেমে অন্যগাড়িতে ওঠার একটা সুযোগ থাকে।
আমার পাশের সিটের লোকটা ৫০০টাকার নোট দেয়। ভাঙতি নাই। ভাঙতি আছে চৌদ্দটাকা। ছেলেটা তাতে রাজি না। অতএব মাত্র দুইটাকার জন্য ৫০০টাকা ভাঙতি দিতে হবে। টাকাটা হাতে নিয়ে ছেলেটা আবার বলে... ভাই এটা পাল্টায়া দ্যান! এটা নকল মনে হইতাছে?
ভদ্রলোক কথাটা শোনামাত্রই ঠাশ করে একটা চড় কষলেন, হারামজাদা সবাই তোেও নকল টাকা দেয়? খানকির বাচ্চা ফাইজলামির আর জায়গা পাস না?
ছেলেটা তীব্র প্রতিবাদ জানায়, লোকটাকেও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। লোকটা এবার জাপটে-জুপটে ধেও আরও মারতে লাগলো। হাত লাগালো হেল্পার ছেলেটা। যদিও হেল্পার থাকার কথা না শিক পরিবহণে। তবু ওরা দুজনে লোকটাকে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিল। এরপর যাত্রীরা সব গেলো খেপে। দুইটারেই আচ্ছারকম ধোলাই দিল। আর ড্রাইভারকে বলল খবরদার গাড়ি থামাবি না, গাড়ি থামাইলে তোরও খবর আছে।. . . . . . . . . ..
মাইরের এক পর্যায়ে সবাই থামলো। ছেলে দুটো মাফ চাইলো। লোকটার কাছে। কন্ট্রাক্টরের চে বেশি মাইর খেলো হেল্পার। ওর উপরই মানুষের ক্ষোভটা ছিল বেশি। ওই কাঁদছে আর বলছে গতকাইল একটা ৫০০টাকার জালনোট ধরা পড়ছে, অর বেতন থেকে কাইট্টা রাখছে, সেজন্য নতুন টাকা দেখলেই ভাবে নকল.. . . . . .
৫০০টাকা ওরা উপার্জন করে অনেক পরিশ্রম করে। অনেক ঝগড়া ফ্যাসাদ করে। সেই টাকা যদি জালনোটের কারণে. . .
আমার খুব কষ্ট লাগলো। আসলেওতো জালনোট চেনার, নিশ্চিত হবার কোনও উপায় কিন্তু আমাদেও জানা নেই। সন্দেহ হতে পারে কিন্তু নিশ্চিত হতে পারি না।
সরকারের কি উচিৎ নয় নকল বা জালনোট সনাক্ত করণে কোনও সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার করা?
বিডিআর-পিলখানা ঘটনার পর বাংলাদেশে কিছু কুকর্মের প্রভাব পড়েছে।
ভারত আবার নির্বিবাদে ফেনসিডিল সরবরাহ করতে পারছে। করছে জালনোট সরবরাহ । সন্ত্রাস এবং ছিনতাই রাহাজানী, খুন বেড়ে যাচ্ছে। কারণ প্রচুর অস্ত্র খোয়া গেছে সেদিন।
ঘটনাটা এখানেই থেমে যায়। একটু পর কন্ট্রাক্টও ছেলেটা আমার সিটের কাছে আসে এবং ভাড়া চাইলে আমি বলি একটু পেও দেবো। এটা আমার ¯^fve! ঊরং সাবধানতাও বলতে পারেন। প্রায়ই শিক পরিবহণ রাস্তার মাঝখানে বন্ধ হয়ে যায়। টিকিট কাটা থাকে বলে ফেরৎ পাওয়া যায় না। একই কোম্পানির অন্য গাড়ির অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকে না। আর অন্যগাড়িতে ওঠা মানেতো সিট নাই, কোনও রকম দাঁড়িয়ে যেতে হয়। আর ভাড়া দেওয়া না থাকলে নেমে অন্যগাড়িতে ওঠার একটা সুযোগ থাকে।
আমার পাশের সিটের লোকটা ৫০০টাকার নোট দেয়। ভাঙতি নাই। ভাঙতি আছে চৌদ্দটাকা। ছেলেটা তাতে রাজি না। অতএব মাত্র দুইটাকার জন্য ৫০০টাকা ভাঙতি দিতে হবে। টাকাটা হাতে নিয়ে ছেলেটা আবার বলে... ভাই এটা পাল্টায়া দ্যান! এটা নকল মনে হইতাছে?
ভদ্রলোক কথাটা শোনামাত্রই ঠাশ করে একটা চড় কষলেন, হারামজাদা সবাই তোেও নকল টাকা দেয়? খানকির বাচ্চা ফাইজলামির আর জায়গা পাস না?
ছেলেটা তীব্র প্রতিবাদ জানায়, লোকটাকেও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। লোকটা এবার জাপটে-জুপটে ধেও আরও মারতে লাগলো। হাত লাগালো হেল্পার ছেলেটা। যদিও হেল্পার থাকার কথা না শিক পরিবহণে। তবু ওরা দুজনে লোকটাকে বেশ বেকায়দায় ফেলে দিল। এরপর যাত্রীরা সব গেলো খেপে। দুইটারেই আচ্ছারকম ধোলাই দিল। আর ড্রাইভারকে বলল খবরদার গাড়ি থামাবি না, গাড়ি থামাইলে তোরও খবর আছে।. . . . . . . . . ..
মাইরের এক পর্যায়ে সবাই থামলো। ছেলে দুটো মাফ চাইলো। লোকটার কাছে। কন্ট্রাক্টরের চে বেশি মাইর খেলো হেল্পার। ওর উপরই মানুষের ক্ষোভটা ছিল বেশি। ওই কাঁদছে আর বলছে গতকাইল একটা ৫০০টাকার জালনোট ধরা পড়ছে, অর বেতন থেকে কাইট্টা রাখছে, সেজন্য নতুন টাকা দেখলেই ভাবে নকল.. . . . . .
৫০০টাকা ওরা উপার্জন করে অনেক পরিশ্রম করে। অনেক ঝগড়া ফ্যাসাদ করে। সেই টাকা যদি জালনোটের কারণে. . .
আমার খুব কষ্ট লাগলো। আসলেওতো জালনোট চেনার, নিশ্চিত হবার কোনও উপায় কিন্তু আমাদেও জানা নেই। সন্দেহ হতে পারে কিন্তু নিশ্চিত হতে পারি না।
সরকারের কি উচিৎ নয় নকল বা জালনোট সনাক্ত করণে কোনও সহজ পদ্ধতি আবিষ্কার করা?
বিডিআর-পিলখানা ঘটনার পর বাংলাদেশে কিছু কুকর্মের প্রভাব পড়েছে।
ভারত আবার নির্বিবাদে ফেনসিডিল সরবরাহ করতে পারছে। করছে জালনোট সরবরাহ । সন্ত্রাস এবং ছিনতাই রাহাজানী, খুন বেড়ে যাচ্ছে। কারণ প্রচুর অস্ত্র খোয়া গেছে সেদিন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন