একদিন বিকেলে
একদিন বিকেলে
০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:১০
বিকেল হলেই আমার ভেতরটা যেন কেমন করে ওঠে! এই চৈত্রের বিকেলে। জীবনানন্দ কতটv কবি আর কতটা দার্শনিক তা আমি জানি না, তবে তার রসায়নবিদ হওয়া উচিৎ ছিল। উচিৎ ছিল এজন্য বলছি যে আমি চাইলেও তাকে একদাগে দার্শনিক বলতে পারি না, কিন্তু মোটামুটি সমালোচকদের মুখরোচক আলোচনায় তাঁর দার্শনিক ভাবমূর্তি অনেকটাই ফুটে ওঠে ; রসায়নবিদ হিসেবে কখনও উঠেছে শুwননি।তিনি কি জন্ডিসের রোগী ছিলেন? আমার মায়ের আবেগী দোষারোপ ছিল একসময়। কারণ তিনি সবকিছুতেই গন্ধ পেতেন। ধানের গন্ধ, মাটির গন্ধ, রোদের গন্ধ, নরম জলের গন্ধ, সবুজের গন্ধ ইত্যাদি। আর আজ আমি তাকে রসায়নবিদ বলতে চাই এ কারণে যে তিনি যে রোদের গন্ধ আবিষ্কার করেছিলেন এটা আমি আজ নিখুঁতভাবে উপলব্ধি করছি। কবিদের একদল লোক বলে পাগল, ভাবের পাগল। আসলে নির্জ্ঞানব্যক্তিই এমন বলে থাকেন। আসলে তাদের কল্পনা শক্তি, অনুধাবন-পারসেপশন, অনুভবের ক্ষমতা Aন্যদের চে অনেক প্রবল এবং ভিন্ন হয় তাই তারা খালিচোখে দেখা সাধারণ বস্তুর ভিতর আবিষকার ক‡রন নানান তত্ত্বগত উপাদান। রোদেরগন্ধ জীবনানন্দ দাশের কবিতায় পড়ে আমি ভেবেছিলাম আসলে এগুলো কবিদের বাড়াবাড়ি, যা মনে আসে তাই বলে ফেলে, দুচারজন ভক্ত বাহবা দেয় তাতেই তারা মনে করে অনেক জ্ঞানী হয়ে গেছেন! কিন্তু এখন উপলব্ধি করি সত্যিই রোদেরও গন্ধ আছে। বিশেষকরে চৈত্রের রোদের। চৈত্রের দুপুরের রোদের গন্ধ মনে করিয়ে দেয় সেই শৈশবে ক্যানেলে গোসলকরে ফেরার কথা। কেন মনে পড়ে? সেই একই ঘটনাতো আজ ঘটেনা! তাহলে? আজতো যান্ত্রিক শহরে কোনও রকম দুইমগ পানি ঢেলে ...আমাকে সাঁতার শিখিয়েছিল কুড়িগ্রামের ময়না আপা। তার স্কাট ফুলিয়ে সে সামনে এগুতো আর আমি সেই ঢোলটা ধরে পা দাপাতাম। আজ সেই স্মৃতিটি রোদের এক ঝামটায় মনে পড়ে যায়।বিকেলে বাইরে বেরুলে বা ছাদে গেলে হুবহু সেই বহুবছর আগের দৃশ্যগুলো মনে ভেসে ওঠে। সেই রোদের অনুভব এখনও কেমনকরে লেগে আছে? আরসব স্মৃতিগুলো বাইরে ঠেলে কেন এটাই বেশি মনে পড়ে? এটাইকি রোদের গন্ধ?এক বিকেলে আমি সোমা, সুমি এবং শিরী আপু গিয়েছিলাম পাশের কলোনীতে বেড়াতে। সাথী-মুক্তিদের বাসায়। উদ্দেশ্য হলো মুক্তির আম্মু আন্টি বড়ইর আচার বানিয়েছে তাই খেতে হবে।দুপুরটা কেমন একা একা লাগত, চৈত্রের দুপুরটা বোধয় সবচে বড় হয়. গরমে কেমন যে লাগত! গোসল মনে হয় ১০০বার করতে পারলে ভালো লাগত। ক্যানেলের পাড় দিয়ে হাঁটার সময় ইচ্ছে হত লাফ দেই পানিতে।আর বিকেল হলে যেন একটু না বেড়ালেই নয়।ওই কলোনীতে ছিল শিরী আপুর পছন্দের মানুষ মিলনভাই। তিনবার ডিগ্রি পরীক্ষা দিয়েও যিনি কৃতকার্য হতে পারেননি। তবু বেচারাকে কেউ নকল করাতে পারেনি। তখন নকলের প্রচলন ছিল খুব। সেই মিলন ভাইর সঙ্গে দুয়েকটি খুনসুটি তারপর আইসক্রিম আদায় করা এই ছিল মেন্যু। অবশ্য আমরা পেয়েছিলাম আটআনা দামের আইসক্রিম আর শিরী আপুর জন্য ছিল সবচে দামী ২টাকার আইসক্রিম। ওটা ছিল আইসক্রিম আর আমরা যেটা খেতাম সেটার নাম ছিল মালাই। জিনিসতো প্রায় একই!তো মিলনভাই আমাদের আড়ালকরে আপুর সঙ্গে চাইলেন একটু আলাপ করতে। মাথা চুলকাচ্ছিলেন, কিন্তু আমরাতো ছাড়ছি না। শেষে শুক্রবার আমাদের হার্ডিঞ্জব্রিজ দেখাতে নিয়ে যাবেন এই শর্তে ছাড়া হলো । এদিকে মিলনভাইর ছোটভাই বাবু এসে এক কাণ্ড করে বসলো...শিরী আপুর কাধে চড়তে গিয়ে তাকে ফেলে দিলো বটির উপর, আন্টি কেবলই সেটা রেখেছেন কিছু করবেন। যা হবার হলো । পা কেটে সেকি রক্ত!আমি ভয়ে প্রায় কেঁদে ফেলছিলাম.. অন্যরাও।সুমিতো কান্নাই জুড়ে দিলহারামিটা আমার আপুকে মেইরে ফেললো ওও...সুমি শিরী আপুর সহোদর।একসপ্তাহ পর্যন্ত আপু আর ঠিকমত হাঁটতে পারলেন না। সুস্থ হলেন ঠিকই, কিন্তু আমাদের আর একসঙ্গে হার্ডিঞ্জব্রিজ দেখতে যাওয়া হলো না।সেইদিনের তারিখটা মনে নেই তবে আজকের বিকেলের রোদের গন্ধের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়, আর সেজন্যই এভাবে মনে পড়ে সেই বিকেলটাকে।..
এডিট করুন ড্রাফট করুন মুছে ফেলুন
৬ টি মন্তব্য
৫৯বার পঠিত
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ৪ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি
এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন
Top of Form
এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন
আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন
আপনার নাম :
আপনার ই-মেইল
আপনার বন্ধুদের ইমেইল
মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/ahonabestblog/28784449 , please visit the link and rate it if you like. :-)
নিজেকেও একটি কপি পাঠান
Bottom of Form
০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:১৭
মুক্তকথা বলেছেন: অসাধারণ নস্টালজিক। এক মুহুর্তে ছুটে গেলাম ইছামতীর নরোম জলে। কাদামাখা ঘাটে ঝাপাঝাপি। এক ঘন্টা ধরে গোসল নামক কাদা সারা গায়ে মেখে ফিরে মায়ের হাতে ঝাঁঝালো কানমলা। কুয়াতলায় আবার গোসল। আহারে, তারপর কাঁদতে কাঁদতে ভাত খেতে বসা। সেই ভাতের মিষ্টি গন্ধ আজো তাড়িয়ে বেড়ায়। আজো চৈত্রের দুপুরে কচি আম দেয়া ডালের গন্ধ পাই।ধন্যবাদ।
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
Top of Form
আপনার জবাবটি লিখুন
setUnijoyAsDefaultLayout();
Bottom of Form
০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:২৮
মাইনুল বলেছেন: +
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
Top of Form
আপনার জবাবটি লিখুন
setUnijoyAsDefaultLayout();
Bottom of Form
০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫
অরথি স্বর্ণালী বলেছেন: ডানায় রোদের গন্ধ মুছে ফেলে চিল... জীব্ন বাবুর কী অসাধারণ লাইন! যাহোক, আপনার লেখাটিও আমাকে অতীতাক্রান্ত করেছে। কতদিন, আহা কতদিন, গায়ে রোদের গন্ধ মুছে ফেলে করতোয়ার জলে সিক্ত হয়েছি! আবার ফেরার পথে গায়ে মেখেছি নরম রোদের ঘ্রাণ...
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
Top of Form
আপনার জবাবটি লিখুন
setUnijoyAsDefaultLayout();
Bottom of Form
০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫০
সোমেশ্বর অলি বলেছেন: ''বিকেল; যেখানে আমাকে কবর দেয়া হয়েছে দুপুরে...''
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
Top of Form
আপনার জবাবটি লিখুন
setUnijoyAsDefaultLayout();
Bottom of Form
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭
মুহিব বলেছেন: চমৎকার অনুভূতি
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
Top of Form
আপনার জবাবটি লিখুন
setUnijoyAsDefaultLayout();
Bottom of Form
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১২
ময়ুরবাহন বলেছেন: নস্টালজিক।
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:১০
বিকেল হলেই আমার ভেতরটা যেন কেমন করে ওঠে! এই চৈত্রের বিকেলে। জীবনানন্দ কতটv কবি আর কতটা দার্শনিক তা আমি জানি না, তবে তার রসায়নবিদ হওয়া উচিৎ ছিল। উচিৎ ছিল এজন্য বলছি যে আমি চাইলেও তাকে একদাগে দার্শনিক বলতে পারি না, কিন্তু মোটামুটি সমালোচকদের মুখরোচক আলোচনায় তাঁর দার্শনিক ভাবমূর্তি অনেকটাই ফুটে ওঠে ; রসায়নবিদ হিসেবে কখনও উঠেছে শুwননি।তিনি কি জন্ডিসের রোগী ছিলেন? আমার মায়ের আবেগী দোষারোপ ছিল একসময়। কারণ তিনি সবকিছুতেই গন্ধ পেতেন। ধানের গন্ধ, মাটির গন্ধ, রোদের গন্ধ, নরম জলের গন্ধ, সবুজের গন্ধ ইত্যাদি। আর আজ আমি তাকে রসায়নবিদ বলতে চাই এ কারণে যে তিনি যে রোদের গন্ধ আবিষ্কার করেছিলেন এটা আমি আজ নিখুঁতভাবে উপলব্ধি করছি। কবিদের একদল লোক বলে পাগল, ভাবের পাগল। আসলে নির্জ্ঞানব্যক্তিই এমন বলে থাকেন। আসলে তাদের কল্পনা শক্তি, অনুধাবন-পারসেপশন, অনুভবের ক্ষমতা Aন্যদের চে অনেক প্রবল এবং ভিন্ন হয় তাই তারা খালিচোখে দেখা সাধারণ বস্তুর ভিতর আবিষকার ক‡রন নানান তত্ত্বগত উপাদান। রোদেরগন্ধ জীবনানন্দ দাশের কবিতায় পড়ে আমি ভেবেছিলাম আসলে এগুলো কবিদের বাড়াবাড়ি, যা মনে আসে তাই বলে ফেলে, দুচারজন ভক্ত বাহবা দেয় তাতেই তারা মনে করে অনেক জ্ঞানী হয়ে গেছেন! কিন্তু এখন উপলব্ধি করি সত্যিই রোদেরও গন্ধ আছে। বিশেষকরে চৈত্রের রোদের। চৈত্রের দুপুরের রোদের গন্ধ মনে করিয়ে দেয় সেই শৈশবে ক্যানেলে গোসলকরে ফেরার কথা। কেন মনে পড়ে? সেই একই ঘটনাতো আজ ঘটেনা! তাহলে? আজতো যান্ত্রিক শহরে কোনও রকম দুইমগ পানি ঢেলে ...আমাকে সাঁতার শিখিয়েছিল কুড়িগ্রামের ময়না আপা। তার স্কাট ফুলিয়ে সে সামনে এগুতো আর আমি সেই ঢোলটা ধরে পা দাপাতাম। আজ সেই স্মৃতিটি রোদের এক ঝামটায় মনে পড়ে যায়।বিকেলে বাইরে বেরুলে বা ছাদে গেলে হুবহু সেই বহুবছর আগের দৃশ্যগুলো মনে ভেসে ওঠে। সেই রোদের অনুভব এখনও কেমনকরে লেগে আছে? আরসব স্মৃতিগুলো বাইরে ঠেলে কেন এটাই বেশি মনে পড়ে? এটাইকি রোদের গন্ধ?এক বিকেলে আমি সোমা, সুমি এবং শিরী আপু গিয়েছিলাম পাশের কলোনীতে বেড়াতে। সাথী-মুক্তিদের বাসায়। উদ্দেশ্য হলো মুক্তির আম্মু আন্টি বড়ইর আচার বানিয়েছে তাই খেতে হবে।দুপুরটা কেমন একা একা লাগত, চৈত্রের দুপুরটা বোধয় সবচে বড় হয়. গরমে কেমন যে লাগত! গোসল মনে হয় ১০০বার করতে পারলে ভালো লাগত। ক্যানেলের পাড় দিয়ে হাঁটার সময় ইচ্ছে হত লাফ দেই পানিতে।আর বিকেল হলে যেন একটু না বেড়ালেই নয়।ওই কলোনীতে ছিল শিরী আপুর পছন্দের মানুষ মিলনভাই। তিনবার ডিগ্রি পরীক্ষা দিয়েও যিনি কৃতকার্য হতে পারেননি। তবু বেচারাকে কেউ নকল করাতে পারেনি। তখন নকলের প্রচলন ছিল খুব। সেই মিলন ভাইর সঙ্গে দুয়েকটি খুনসুটি তারপর আইসক্রিম আদায় করা এই ছিল মেন্যু। অবশ্য আমরা পেয়েছিলাম আটআনা দামের আইসক্রিম আর শিরী আপুর জন্য ছিল সবচে দামী ২টাকার আইসক্রিম। ওটা ছিল আইসক্রিম আর আমরা যেটা খেতাম সেটার নাম ছিল মালাই। জিনিসতো প্রায় একই!তো মিলনভাই আমাদের আড়ালকরে আপুর সঙ্গে চাইলেন একটু আলাপ করতে। মাথা চুলকাচ্ছিলেন, কিন্তু আমরাতো ছাড়ছি না। শেষে শুক্রবার আমাদের হার্ডিঞ্জব্রিজ দেখাতে নিয়ে যাবেন এই শর্তে ছাড়া হলো । এদিকে মিলনভাইর ছোটভাই বাবু এসে এক কাণ্ড করে বসলো...শিরী আপুর কাধে চড়তে গিয়ে তাকে ফেলে দিলো বটির উপর, আন্টি কেবলই সেটা রেখেছেন কিছু করবেন। যা হবার হলো । পা কেটে সেকি রক্ত!আমি ভয়ে প্রায় কেঁদে ফেলছিলাম.. অন্যরাও।সুমিতো কান্নাই জুড়ে দিলহারামিটা আমার আপুকে মেইরে ফেললো ওও...সুমি শিরী আপুর সহোদর।একসপ্তাহ পর্যন্ত আপু আর ঠিকমত হাঁটতে পারলেন না। সুস্থ হলেন ঠিকই, কিন্তু আমাদের আর একসঙ্গে হার্ডিঞ্জব্রিজ দেখতে যাওয়া হলো না।সেইদিনের তারিখটা মনে নেই তবে আজকের বিকেলের রোদের গন্ধের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়, আর সেজন্যই এভাবে মনে পড়ে সেই বিকেলটাকে।..
এডিট করুন ড্রাফট করুন মুছে ফেলুন
৬ টি মন্তব্য
৫৯বার পঠিত
আপনি রেটিং দিতে পারবেন না
পোস্টটি ৪ জনের ভাল লেগেছে, ০ জনের ভাল লাগেনি
এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন
Top of Form
এই লেখার লিংক টি আপনার বন্ধুকে পাঠান বন্ধ করুন
আপনার নিজস্ব ই-মেইল ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে চাইলে এখানেক্লিক করুন
আপনার নাম :
আপনার ই-মেইল
আপনার বন্ধুদের ইমেইল
মেসেজ (নীচের মেসেজটি আপনার ইচ্ছেমত পরিবর্তন করুন hi, i have been reading a nice wonderful post in http://www.somewhereinblog.net and would like to share it with you. Here is the post link http://www.somewhereinblog.net/blog/ahonabestblog/28784449 , please visit the link and rate it if you like. :-)
নিজেকেও একটি কপি পাঠান
Bottom of Form
০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:১৭
মুক্তকথা বলেছেন: অসাধারণ নস্টালজিক। এক মুহুর্তে ছুটে গেলাম ইছামতীর নরোম জলে। কাদামাখা ঘাটে ঝাপাঝাপি। এক ঘন্টা ধরে গোসল নামক কাদা সারা গায়ে মেখে ফিরে মায়ের হাতে ঝাঁঝালো কানমলা। কুয়াতলায় আবার গোসল। আহারে, তারপর কাঁদতে কাঁদতে ভাত খেতে বসা। সেই ভাতের মিষ্টি গন্ধ আজো তাড়িয়ে বেড়ায়। আজো চৈত্রের দুপুরে কচি আম দেয়া ডালের গন্ধ পাই।ধন্যবাদ।
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
Top of Form
আপনার জবাবটি লিখুন
setUnijoyAsDefaultLayout();
Bottom of Form
০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৫:২৮
মাইনুল বলেছেন: +
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
Top of Form
আপনার জবাবটি লিখুন
setUnijoyAsDefaultLayout();
Bottom of Form
০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫
অরথি স্বর্ণালী বলেছেন: ডানায় রোদের গন্ধ মুছে ফেলে চিল... জীব্ন বাবুর কী অসাধারণ লাইন! যাহোক, আপনার লেখাটিও আমাকে অতীতাক্রান্ত করেছে। কতদিন, আহা কতদিন, গায়ে রোদের গন্ধ মুছে ফেলে করতোয়ার জলে সিক্ত হয়েছি! আবার ফেরার পথে গায়ে মেখেছি নরম রোদের ঘ্রাণ...
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
Top of Form
আপনার জবাবটি লিখুন
setUnijoyAsDefaultLayout();
Bottom of Form
০১ লা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫০
সোমেশ্বর অলি বলেছেন: ''বিকেল; যেখানে আমাকে কবর দেয়া হয়েছে দুপুরে...''
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
Top of Form
আপনার জবাবটি লিখুন
setUnijoyAsDefaultLayout();
Bottom of Form
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭
মুহিব বলেছেন: চমৎকার অনুভূতি
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
Top of Form
আপনার জবাবটি লিখুন
setUnijoyAsDefaultLayout();
Bottom of Form
০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১২
ময়ুরবাহন বলেছেন: নস্টালজিক।
জবাব দিনমুছে ফেলুন ব্লক করুন
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন