jibonanondo

জীবনানন্দ দাসের নিসর্গ চেতনা।

ঝাউয়ের কাননে মিঠি মাঠে মাঠে মটর ক্ষেতের শেষে

আমি কবি সেই কবি

পথে ঘাটে একা একা বুনোহাঁস

দুপুর আকাশে।

বুড়ো হয়ে গেছ তুমি বুড়ি পৃথিবীর মতো। ধূসর পাণ্ডুলিপি- মৃত্যু শেষে

গোধূলি গোলাপী বরণ, তবুও গোলাপী নয়

বায়ে আর ডানে

পোড়ো জমি ঘর, নেড়া মাঠের ফাঁটল

শিশিরের জল

হেমন্তের শস্য শূন্য মাঠ

নির্জর স্বাক্ষর-

ডেকেছে তোমারে মৃত্যু অবাধ, মৃত্যু অবাধ

আমার ইচ্ছা করে ঘাসের ঘ্রাণ হরিৎ মদের মত

গেলাসে গেলাসে পান করি।

বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি

তাই পৃথিবীর রূপ খুজিতেঁ যাই না আর।

এই পৃথিবীর পথে

আড়াই হাজার বছর বয়সী আমি

ব্যাবিলনে একা একা এমনই হেঁটেছে

আজো আমি জানি নাকো হাজার হাজার

ব্যস্ত ব্যস্ত বছরের পর।

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার দিশা

মুখ তার শ্রাবস্তীর কারু কাজ

দুর ইর ব্যাবিলন মিশরের মরু সঙ্কটে

কোথা পিরামিড তলে ইসিসের বেদিকার মূলে আমি ...(অস্ত চাঁদ, ঝরা পালক)

এ শিরিয়া ধূলো আজ ব্যাবিলন ছাই হয়ে আছে

মনে হয় কোন বিলুপ্ত নগরীর কথা

ফররুখ আহমদ ১৩৫০ সালের দুর্বিক্ষের কথা বলেছেন তার কবিতায় লাশ।

যেখানে প্রশস্ত পথ ঘুরে গেছে মোড়

কাল পিচঢালা পথে লাগে না ধূলির আচড়

পথের দ্বারে পরে আছে মানুষের লাশ

জানি সন্ধ্যার জনতা কোনদিন রাখে না সে খবর

পথের দ্বারে সজ্জিত নারী নর

পাথরের ঘর

মৃত্যুর কারাগার

সজ্জিতা নটনটি বারাঙ্গনা পথের দ্বারে

মধুর ভাষণ

..মৃত্যুর কবর।

হে জড় সভ্যতা

মৃত সভ্যতার দাশ স্ফীত মেদ শোষক সমাজ

মানুষের অভিশাপ লয়ে যাও

তারপর সময় বিশ্বময়

তোমার শৃং্খরগত দ্বারে পদাঘাত হানি

নিয়ে যাব জাহান্নামের

দ্বারপ্রান্তে টানি।

পৈশাচিক রূপ

করেছে বিলোপ

শ্বাশ্বত মানবসত্তা মানুষের প্রান অভিচার?

ক্ষদিত মুখের গ্রাস কেড়ে নেয় রুদিয়া

মানুষের হাড় দিয়া তারা আজ গড়ে খেলাঘর

সাক্ষ্য তার রাজপথে মুখ গুজে পড়ে আছে ধরণীর পর।

পরে আছে মৃত সভ্যতা

তারি সাথে পথে মুখ গোজে।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.