যে জানায় ভুল ছিল তাকে আর অগ্রবর্তী হতে দিও না,

যে জানায় ভুল ছিল তাকে আর অগ্রবর্তী হতে দিও না, যাকে

পেতে চেয়ে হোঁচট খেয়েছ, তাকে আর ফিরে পেতে চেও না।

আমি কখনও কোনও নীতিবাক্য অনুসরণ করি না। নীতিবাক্য শুনলেই যেন নিউটনের তৃতীয় সূত্র হাঁক ছাড়ে বিক্রিয়ার সমান প্রতিক্রিয়ার! তাই অনেকেই ত্যাড়া বলে ঘৃণা জানায় আর কেউ সাহসী, প্রতিবাদী বলে সমীহ করে। আমার অবশ্য কোনওটাতেই আপত্তি বা আগ্রহ নেই। কে কী বললো না বলল ওসব নিয়ে ভাববার অবকাশই বা কোথায়? আমার জীবন আমারই, অন্য কারও নয়। মরণ এলে তাতে আমিই মরবো আমার ভাগের মরণ অন্য কেউ মরেবে না। অতএব লোকের কথা ভেবে দুনিয়ায় অযথা ভদ্রতা লৌকিকতার জাল তৈরি করে নিজেকে ঠকানোর কোনও অর্থই হয় না। আমি যখন যা নিজে ভালো মনে করেছি তাই করেছি; সেজন্য পরিবােও আমাকে নিয়ে মিশ্র ধরনের প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কেউ বলে ওকে ঘাটা যাবে না, আর কেউ বলে ওতো গ্যাছে, একদম শ্যাষ...আদব কায়দা কিচ্ছু নাই.. ..কারও কথার মর্যাদা রাখে না; এসব শুনতে হয় আমাকে। আমি তথাপি তথাস্তু। তবে কেউ কেউ আমার এই দোষটাকে বেশ এনজয় করে, তারা বলে কথার দাম আছে ছেলেটার...

কিন্তু এই দামরাখা কথা আর ত্যাড়ামির জন্য অনেক ভোগান্তিও হয়েছে আমার। সেসব বলার যায়গা বা সময় এটা নয় তাই সংক্ষেপে কিছু ব্যাপার শেয়ার করার ইচ্ছা রাখি।

বন্ধুবান্ধবদের আড্ডা থেকে সবসময় একধরণের প্ররোচনা বোধ করতাম মেয়েদের টিজ করার ব্যাপারে। এই টিজের অনেক ধরণ আছে। শাহীন নামের এক বন্ধু ছিল ওর গল্পের বিষয় হিসেবে প্রাধান্য পেতো কয়টার মেয়ের শরীরে কীভাবে হাত দিয়েছে সেসব। ক্যামনে কোথায় কাকে কীসে চাপ বসিয়ে দিয়েছে নির্ঝঞ্ঝাটে, এসব গর্বকরে গল্পকরতো। তানভীর ছিল সাহসী টাইপের ছেলে , যে কোনও মেয়েকে অফার করা যা খুশি সবার সামনে বলার ৎসাহস কেবল ওরই ছিল। বন্ধুরা কিঞ্চিত উসকে দিলেই কাজে নেমে পড়তো।

এক্সকিউজ মি?

স্যরি!

আপনি কি দিলশাদ অ্যানি?

হ্যা,

কী করে চিনলাম বলেনতো!

কী করে আবার, গায়ে পুলিশের মতো নামলেখা পোষাক আছে তাই,যত্তোসব।

বলে হয়ত মেয়েটি গটগট করে হাঁটা শুরু করলো। কিন্তু তানভিরও ছাড়বার পাত্র নয়। সে যাত্রায় †n‡i গেলেও ঠিকই দিন দুই তিনেক পর দেখা যেতো মেয়েটার সঙ্গে তানভিরের গলায় গলায় ভাব।. . . . . .

এসব একধরণের চ্যালেঞ্জ এনে দিত মনে কিন্তু কোনওটাই নিজের কাছে অসম্ভব বলে মনে হতো না। তাই সেসব চ্যালেঞ্জে ওভাবে নামিনি তবে নেমেছি অন্যভাবে। সবাই যেমন নিজের বিজয়গর্ব দেখাতে আগ্রহ বোধ করতো আমার ভালো লাগতো লুকিয়ে রাখতে। আমার মনে হতো লুকিয়ে রাখার কী ভীষণ মার্ধর্য লুকিয়ে আছে। সব প্রকাশ করে দেয়ার মধ্যে কোনও ক্রেডিট নেই। তবু একবার হিসেব করে দেখলাম যাবত তেরটি মেয়ের সঙ্গে আমার এমন সম্পর্ক হয়েছে যে কিস খাওয়ার মতো দুর্ল্যভ কাজটাও হয়েছে।

কোনও মেয়েকে কিস খাওয়া আমাদের সমাজে যেন তেন ঘটনা নয়। রীতিমত ঘোরতর অন্যায়।

প্রথম চুমুটা ছিল মিনা আপুর সাথে। সে আমার অনেক বড়। হয়ত ছোটবাবু ভেবে চুমু খেয়েছিল, কিন্তু আমিতো জানি আমি পাকনা। আমি ঠিকই তার চুমুর শোধ নিয়েছি। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। মিনা আপুদের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম আম্মুর সাথে। রাতে আপুই আমাকে তার সঙ্গে ঘুমুতে নিয়ে গিলেন। এবং আমাকে বললেন তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে। আমার যদিও খুব ভয় এবং সঙ্কোচ হচ্ছিল. . . . . কিন্তু মিনা আপু সে রাতে আমার বয়স বাড়িয়ে নিয়েছিলেন. . অনেক খানি,তাার যতোখানি প্রয়োজন। সে রাতেই আমি নিজেকে আবিষ্কার করি অন্য ভাবে।. . . .

দেখতে পিচ্চিপাচ্চা ছিলাম,তাই এক্সট্রা কিছু অ্যাডভান্টেজ ছিল। কেউ সহসা মাইন্ড করতো না। ক্লাস এইটে উঠে এক কাজিনের সঙ্গে গভীরভাবে মিশি। ওদের বাড়ি ছিল গ্রামে। প্রায় নিয়মিত শাত তুলত যেত,সঙ্গে অনেকেই যেত,কিন্তু ঢেকির শাক নামের একটা my¯^v`y শাক তুলতে সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। আমরাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতাম। একসময় ক্লান্ত হয়ে একজন অন্যজনের ওপর নির্ভর করতাম। কাজিনের নাম সোনিয়া সমান বয়েসী আমরা। ওই আমাকে বলে থাক আর শাক তুলবো না, চল চলে যাই. . .আচ্ছা তোর কী ভাললাগে সবচেয়ে?

ঢেকির শাক!

সর ফালতু?

তোর?

আমার পছন্দ আপেল। তোর গালের মতো। বলে আমাকে কাছে যেতে বলে আমি না এলেও সে ঠিকই আসে এবং প্রথমে আপেলে কামড় এবং পরে. . .

ক্লাস এইটে থাকতেই ছোটমামার সাথে চ্যালেঞ্জ করে একটা মেয়ের সাথে প্রেম করেছিলাম এবং মেয়েটা মামার সামনেই আমাকে কিস খেয়েছিল. . .

অতএব মেয়েদের নিয়ে আমার কোনও ভাবনা কোনও কালেই ছিল না। কিন্তু বন্ধুদের হা-পিত্যেস দেখে খুব চিন্তিত বোধ করতাম আশ্চর্য এরা কি কোনওদিন মেয়েদের সংস্পর্শ পায়নি? এতো লোভী কেন এরা? ওসব বন্ধুদের পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতাম। তবু চরিত্র রক্ষা সম্ভব হয়নি। কচিকালেই যে বাঁশে ঘুণ ধরে তাকে যেমন রক্ষা করা যায় না তেমনি। আজও কোনও মেয়েকে ভালো লাগলে প্রথমেই ভাবি একটা চুমুর কথা। তারপর প্ল্যান করি কীভাবে চুমু খাওয়ার মতো সম্পর্ক তৈরি করা যায়। এবং অদ্ভুত বিষয় সেরকম সম্পর্ক গড়তে কেন যেন খুব বেশি সময় লাগে না আমার!

এই চুমুর পাল্লায় পড়ে শেষপর্যন্ত এক মেয়ের প্রেমে পড়তে হয় তারপর তাকে বিয়ে করতে হয়, সন্তান হয় সে সন্তান সবাইকে চুমু খেয়ে সন্তুষ্ট রাখে।. . . যখনই ওকে রাগ করি,সে আরও এগিয়ে আসে, চোখ মুখের দিকে তাকিয়ে বলে বাবা, পাপা! তখন গাল পেতে দিলে প্রশ্রয় পেয়ে সে পাপা দেয়। আবার ঘুমথেকে উঠে বাবা মা দুজনকেই পাপা দেবে; যদিমুড ভালো থাকে।

আজও আমার কাছে চুমু টাকে অনেক বেশি পবিত্রই বলে মনে হয়, কিন্তু ইদানীং পত্রপত্রিকায় যেসব সংবাদ পাচ্ছি ইভটিজিং এর তাতে মনে হয় আমার চেয়েও ভয়ঙ্কও কিছু ত্যাড়া মেয়েদের উত্যক্ত করে অতিষ্ঠ করে তুলেছে মানুষের জীবন। আমি নীতিবাক্য পছন্দ করি না তাই নীতিবাক্য আওড়াই না কিন্তু একটি কথা বলতে চাই যদি নিজের ব্যাপাকারও মাঝে ভালোবাসা ৎপাদন করতে না পারো অন্তত ঘৃণা ৎাদন করো না। একটি মেয়ে কেন ইভটিজিং এর শিকার হবে? মেয়েরাতো †¯^”Qvq পুরুষের কাছে সব বিলিয়ে দেয়, হ্যা, তবে সব কাছে দেয় না। যেসব পুরুষের কাছে দেয় তুমি তেমন হও, আর না পারলে জোরপূর্বক নিজেকে কলঙ্কিত করতে এসো না। নিজের অক্ষমতায় নিজে আত্মহত্যা করে অলংকৃত করো পুরুষজাতির সম্মান। আমার কাছে ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে একটি ছেলে একটি মেয়েকে যতোটা না ফিল করে তারচেয়ে কয়েকগুণ ফিল করে মেয়েটা, অথচ পুরুষ ধর্ষিত হয় না, ইভটিজিং এর শিকার হয় না, হয় কেবল নারীরা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.