মুসলিম নারীর চাকরি ও দেওবন্দের ফতোয়া
মুসলিম নারীর চাকরি ও দেওবন্দের ফতোয়া
১৪ ই মে, ২০১০ রাত ১০:১৩
শেয়ার করুন:
টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে গত ১২ মে প্রথম আলো পত্রিকার ১১পৃষ্ঠায় "মুসলিম নারীদের বাইরে কাজ করতে যাওয়া হারাম"- এই শিরোনামে যে সংবাদটি ছাপা হয়েছিল তা দেখে শুধু আমিই না, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যারা মোটামুটি সঠিক জ্ঞান রাখে তাদের সবারই অবাক হবারই কথা। শুধু তাই নয়, এই সংবাদটি নজিরবিহীন আখ্যায়িত করে বিষয়টিকে বক্রভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল।কিন্তু আজ অর্থাৎ একদিন পরই প্রথম আলো পত্রিকার ১১পৃষ্ঠায় "মুসলিম নারীর চাকরি (ছোট অক্ষরে লেখা)- ফতোয়ার কথা অস্বীকার করল দেওবন্দ"- শিরোনামে আবারও একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে। এতে প্রকৃত বিষয়টি এমন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে তাতে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হওয়াটাই স্বাভাবিক।এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে, নারীর চাকরির ব্যাপারে নুতন কোরে ফতোয়া দেয়ার কোন প্রয়োজন আছে কি? আল-কোরআন এবং সহী হাদিছ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানতে পারি যে, হালাল কোন কাজ করার ক্ষেত্রে পুরুষের যেমন বাধা নেই, তেমনি নারীরও নেই। তবে এক্ষেত্রে কর্মের ধরনটি কার জন্য কেমন হবে তা যেমন বিবেচনায় আনতে হবে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে নারীরা যেন পর্দা করার ব্যাপারে যত্নবান হয় তা অবশ্যই ল্ক্ষ্য রাখতে হবে। সুতরাং এখানে নুতন কোরে ফতোয়া দেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পর পরই ইসলামের ধর্মীয় বিষয়ে ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ দারুল উলুম মাদ্রাসার বিশিষ্ট আলেমগণের মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে ভারতে মুসলমানদের কর্ম-সংস্থানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তাই মুসলিম নারীরা যেন ধর্মীয় বিধি নিষেধের প্রতি খেয়াল রাখে এবং যথাযথ ভাবে পর্দা কোরে কর্মস্থলে অংশ গ্রহণ করে সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই মূলত দেওবন্দের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আলেমগণ তাদের বক্তব্য রাখেন। প্রতিটি ধর্মেরই নির্দিষ্ট আইন-কানুন রয়েছে। ইসলাম ধর্মের আইন অনুসারে বেপর্দা অথাৎ ঠিকমত ছতর (শরীরের গোপন অঙ্গ) না ঢেকে বাইরে চলাফেরা করা ও বেপর্দা কর্মস্থলে অংশ গ্রহণ করা যে বৈধ নয়- এই বিষয়টি এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতে যেহেতু পাশ্চাত্য কালচারের প্রভাব দিন দিন বেড়ে চলেছে, তাই বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় এনে এরূপ বক্তব্য ও মতামত প্রকাশের অবশ্যই প্রয়োজন ছিল।দেওবন্দের মুখপাত্র মওলানা আদনান মুন্সি ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সম্পাদক মওলানা এন এ ফারুকির বক্তব্য থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, মুসলিম নারীরা যেন কর্মস্থলে "ঠিকমত ঢেকেঢুকে" যাবার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়, প্রকৃতঅর্থে উক্ত অনুষ্ঠানে সে সম্পর্কেই মতামত প্রকাশ করা হয়েছে।পাশাপাশি কংগ্রেসের সাংসদ রশিদ আলভি ও সাবেক সাংসদ সৈয়দ সাহাবুদ্দীনের বক্তব্যও প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টিকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন কোরে দন্দ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই মূলত মুসলমান নামের দুজন রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্যকে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যেন মনে হয় দেওবন্দ সত্যি সত্যি নুতন কোন ফতোয়া জারি করেছে। শুধু তাই নয়, ‘এ ধরনের ফতোয়া মেনে চলা সম্ভব নয়’ বলে উক্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টিকে অন্যরকম মাত্রা দেবার হীন প্রয়াসও নেয়া হয়েছে। যা মোটেই কাম্য নয়
১৪ ই মে, ২০১০ রাত ১০:১৩
শেয়ার করুন:
টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে গত ১২ মে প্রথম আলো পত্রিকার ১১পৃষ্ঠায় "মুসলিম নারীদের বাইরে কাজ করতে যাওয়া হারাম"- এই শিরোনামে যে সংবাদটি ছাপা হয়েছিল তা দেখে শুধু আমিই না, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যারা মোটামুটি সঠিক জ্ঞান রাখে তাদের সবারই অবাক হবারই কথা। শুধু তাই নয়, এই সংবাদটি নজিরবিহীন আখ্যায়িত করে বিষয়টিকে বক্রভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল।কিন্তু আজ অর্থাৎ একদিন পরই প্রথম আলো পত্রিকার ১১পৃষ্ঠায় "মুসলিম নারীর চাকরি (ছোট অক্ষরে লেখা)- ফতোয়ার কথা অস্বীকার করল দেওবন্দ"- শিরোনামে আবারও একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে। এতে প্রকৃত বিষয়টি এমন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে যে তাতে জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক হওয়াটাই স্বাভাবিক।এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে, নারীর চাকরির ব্যাপারে নুতন কোরে ফতোয়া দেয়ার কোন প্রয়োজন আছে কি? আল-কোরআন এবং সহী হাদিছ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানতে পারি যে, হালাল কোন কাজ করার ক্ষেত্রে পুরুষের যেমন বাধা নেই, তেমনি নারীরও নেই। তবে এক্ষেত্রে কর্মের ধরনটি কার জন্য কেমন হবে তা যেমন বিবেচনায় আনতে হবে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে নারীরা যেন পর্দা করার ব্যাপারে যত্নবান হয় তা অবশ্যই ল্ক্ষ্য রাখতে হবে। সুতরাং এখানে নুতন কোরে ফতোয়া দেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পর পরই ইসলামের ধর্মীয় বিষয়ে ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ দারুল উলুম মাদ্রাসার বিশিষ্ট আলেমগণের মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে ভারতে মুসলমানদের কর্ম-সংস্থানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তাই মুসলিম নারীরা যেন ধর্মীয় বিধি নিষেধের প্রতি খেয়াল রাখে এবং যথাযথ ভাবে পর্দা কোরে কর্মস্থলে অংশ গ্রহণ করে সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই মূলত দেওবন্দের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট আলেমগণ তাদের বক্তব্য রাখেন। প্রতিটি ধর্মেরই নির্দিষ্ট আইন-কানুন রয়েছে। ইসলাম ধর্মের আইন অনুসারে বেপর্দা অথাৎ ঠিকমত ছতর (শরীরের গোপন অঙ্গ) না ঢেকে বাইরে চলাফেরা করা ও বেপর্দা কর্মস্থলে অংশ গ্রহণ করা যে বৈধ নয়- এই বিষয়টি এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতে যেহেতু পাশ্চাত্য কালচারের প্রভাব দিন দিন বেড়ে চলেছে, তাই বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় এনে এরূপ বক্তব্য ও মতামত প্রকাশের অবশ্যই প্রয়োজন ছিল।দেওবন্দের মুখপাত্র মওলানা আদনান মুন্সি ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সম্পাদক মওলানা এন এ ফারুকির বক্তব্য থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, মুসলিম নারীরা যেন কর্মস্থলে "ঠিকমত ঢেকেঢুকে" যাবার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়, প্রকৃতঅর্থে উক্ত অনুষ্ঠানে সে সম্পর্কেই মতামত প্রকাশ করা হয়েছে।পাশাপাশি কংগ্রেসের সাংসদ রশিদ আলভি ও সাবেক সাংসদ সৈয়দ সাহাবুদ্দীনের বক্তব্যও প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টিকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন কোরে দন্দ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই মূলত মুসলমান নামের দুজন রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্যকে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যেন মনে হয় দেওবন্দ সত্যি সত্যি নুতন কোন ফতোয়া জারি করেছে। শুধু তাই নয়, ‘এ ধরনের ফতোয়া মেনে চলা সম্ভব নয়’ বলে উক্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টিকে অন্যরকম মাত্রা দেবার হীন প্রয়াসও নেয়া হয়েছে। যা মোটেই কাম্য নয়
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন