বৈশাখীর অনুষ্ঠান বিগ শো
শাহরুখ খান এবং অন্তর শো-বিজের দুর্দান্ত সাফল্যের পর বৈশাখী একপ্রকার বেপরোয়া হয়ে ওঠে ভারতীয় শিল্পীদের আনার ক্ষেত্রে। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এলো সালমান অক্ষয় ক্যাটরিনাসহ শতাধিক শিল্পী-সহশিল্পী। তাদের যে পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে আনা হলো তার চেয়ে বোধকরি দ্বিগুণ তারা তুলে দিয়ে গেছে। প্রশ্ন আয় ব্যায় নিয়ে নয়। প্রশ্ন হচ্ছে এমন অনুষ্ঠান বাংলাদেশের সংস্কৃতির জন্য কিছু বয়ে আনলো কি না?
এটি ভাষা আন্দোলনের মাস। যদি পরদেশ-সংস্কৃতি নিয়ে আমরা এভাবে মেতে উঠতে পারি অবলীলায় তাহলে ভাষা আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন ছিল কি? পাকিস্তানিরাতো আমাদের বাংলা বলতে বাধ্য করেনি। রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা কিন্তু যে যার মাতৃভাষায় কথা বলতে পারবে। তাহলে কেন বাঙালি প্রতিবাদ করেছিল? নিশ্চই মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার জন্য! হয়ত উর্দু রাষ্ট্রভাষা হলে বাংলা হতো দ্বিতীয় শ্রেণির ভাষা। বা নিম্ন শ্রেণির মানুষের ভাষা। নিজ ভাষা-সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে যে বাঙালি রক্ত দিয়েছে তারা কেন আজ ২৫ হাজার টাকার টিকেট কিনে ভারতীয় সংস্কৃতি উপভোগ করতে বাধ্য হলো? এটিকি চেতনার অবক্ষয়?
বাণিজ্যিক বিবেচনায়ও বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে গেলো না?
কোটি টাকার বাণিজ্য করছে শাহরুখ সালমানরা, আর ভাত পাচ্ছে না এদেশের শিল্পীরা। এর আগে যে দুচারজন শিল্পী কলকাতায় বা বিদেশে প্রবাসীদের আমন্ত্রণে যেত তারাও কি আর ডাক পাবে? আরে ধুর! বাংলাদেশের শিল্পী আছে নাকি, ওরাইতো চালায় ভারতীয় শিল্পী ধার করে।
আর দর্শকদের মাঝেও একটি ম্যানিয়া তৈরি হবে--এমন--জেমস-বাচ্চুদের স্টেজ শো আর পোষায় না, দুয়েকটা ইন্ডিয়ান শিল্পী না হলে কী চলে? আর সে দুয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে এদেশের বাঘা শিল্পীরা পারফর্ম করতে গিয়ে হয়ে উঠবেন দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণির শিল্পী। এভাবে নিজের দেশের শিল্পী-কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে অপমান করবার দু:সাহস ডেসটিনি দেখালো কী করে?
অবৈধ টাকার জোরে?
এমএলএম এর নামে ডেসটিনি যে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পথে বসিয়ে দিচ্ছে হাজার হাজার দরিদ্র কর্মপিয়াসু মানুষকে তাতো এখন সর্বজনবিদিত। বাংলাদেশের উন্নয়নের নামে মাল্টিকালার ক্ষতি করছে ডেসটিনি। একদিকে নষ্ট হচ্ছে মানুষের মূল্যবোধ, এক অপরের কল্যাণ কামনার পরিবর্তে কল্লা কামনা করছে। বন্ধুত্বের সুযোগে হাতাবাড়িয়ে ব্যবসার ফাঁদ পেতে নষ্ট করছে সম্পর্ক। যার তার গলায় টাই পরিয়ে অপমান করছে টাইপড়া ভদ্রলোকদের। মেয়েদেরকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে পদদলিত করছে নারী জাতিকে। যে প্রতারিত হয়েছে ৫ কিংবা দশ হাজার টাকা দিয়ে সে তার টাকা উসুল করতে হ্যান্ডস বাড়ানোর তাগিদে ভুলে যাচ্ছে কী বন্ধুত্ব আর কী আত্মীয়তা 'দে জবাই! আমি যখন মরছি কাউরে বাঁচতে দিমু না।'.... ....এভাবে প্রতারিতের সংখ্যায় ভরে যাচ্ছে দেশ। যারা জয়েন করছে তারা কী করছে? এই বন্ধু ওই বন্ধু এই আত্মীয় ওই আত্মীয়র দ্বারে নানা কৌশলে হ্যান্ডস বাড়ানোর ফন্দি নিয়ে যায়, নিজের জন্য এটাই মনে করে পেশা। একটি বিশাল জনশক্তিকে বেকারত্ব থেকে মুক্ত করার নামে তাদের নামিয়ে দিয়েছে অনুৎপাদনশীল কাজে। নিজেদের গাড়িবাড়ি কয়েকটা বিল্ডিং ছাড়া কী করেছে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এই ডেসটিনি?
যে পথে আয় করেছে তেমনি ব্যায় ও করছে অনুৎপাদনশীল খাতে।
ডেসটিনি যেভাবেই অর্জণ করুক এখন তার টাকার পরিমাণ বিশাল, তারা চাইলে দেশের যে কোনও বড় কাজে ইনভেস্ট করতে পারতো। প্রতারণার রাস্তা ছেড়ে তারা পারত প্রোডাক্টিভিটির রাস্তায় পিরে আসতে। তা না করে ভারতীয় শিল্পীদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে দেশের মানুষের পকেট আবারও শূন্য করার এই কৃৎকৌশল রীতিমত দুর্ভাগ্যজনক।
অনুষ্ঠান কি ভালো হয়েছে? দর্শক কি পরিতৃপ্ত?
সশরীরে উপস্থিত দর্মকদের অবস্থা জানি না, তবে টেলিভিশন দর্শকরা চরম নাখোশ।
উপস্থাপিকার শেয়ালের মতো চিৎকার আর অসংলগ্ন ভাষার উপস্থাপনায় ভালো লাগার শিল্পীকেও ভালোভাবে নিতে পারেনি অনেকে।
এটি ভাষা আন্দোলনের মাস। যদি পরদেশ-সংস্কৃতি নিয়ে আমরা এভাবে মেতে উঠতে পারি অবলীলায় তাহলে ভাষা আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন ছিল কি? পাকিস্তানিরাতো আমাদের বাংলা বলতে বাধ্য করেনি। রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা কিন্তু যে যার মাতৃভাষায় কথা বলতে পারবে। তাহলে কেন বাঙালি প্রতিবাদ করেছিল? নিশ্চই মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার জন্য! হয়ত উর্দু রাষ্ট্রভাষা হলে বাংলা হতো দ্বিতীয় শ্রেণির ভাষা। বা নিম্ন শ্রেণির মানুষের ভাষা। নিজ ভাষা-সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে যে বাঙালি রক্ত দিয়েছে তারা কেন আজ ২৫ হাজার টাকার টিকেট কিনে ভারতীয় সংস্কৃতি উপভোগ করতে বাধ্য হলো? এটিকি চেতনার অবক্ষয়?
বাণিজ্যিক বিবেচনায়ও বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে গেলো না?
কোটি টাকার বাণিজ্য করছে শাহরুখ সালমানরা, আর ভাত পাচ্ছে না এদেশের শিল্পীরা। এর আগে যে দুচারজন শিল্পী কলকাতায় বা বিদেশে প্রবাসীদের আমন্ত্রণে যেত তারাও কি আর ডাক পাবে? আরে ধুর! বাংলাদেশের শিল্পী আছে নাকি, ওরাইতো চালায় ভারতীয় শিল্পী ধার করে।
আর দর্শকদের মাঝেও একটি ম্যানিয়া তৈরি হবে--এমন--জেমস-বাচ্চুদের স্টেজ শো আর পোষায় না, দুয়েকটা ইন্ডিয়ান শিল্পী না হলে কী চলে? আর সে দুয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে এদেশের বাঘা শিল্পীরা পারফর্ম করতে গিয়ে হয়ে উঠবেন দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণির শিল্পী। এভাবে নিজের দেশের শিল্পী-কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে অপমান করবার দু:সাহস ডেসটিনি দেখালো কী করে?
অবৈধ টাকার জোরে?
এমএলএম এর নামে ডেসটিনি যে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পথে বসিয়ে দিচ্ছে হাজার হাজার দরিদ্র কর্মপিয়াসু মানুষকে তাতো এখন সর্বজনবিদিত। বাংলাদেশের উন্নয়নের নামে মাল্টিকালার ক্ষতি করছে ডেসটিনি। একদিকে নষ্ট হচ্ছে মানুষের মূল্যবোধ, এক অপরের কল্যাণ কামনার পরিবর্তে কল্লা কামনা করছে। বন্ধুত্বের সুযোগে হাতাবাড়িয়ে ব্যবসার ফাঁদ পেতে নষ্ট করছে সম্পর্ক। যার তার গলায় টাই পরিয়ে অপমান করছে টাইপড়া ভদ্রলোকদের। মেয়েদেরকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে পদদলিত করছে নারী জাতিকে। যে প্রতারিত হয়েছে ৫ কিংবা দশ হাজার টাকা দিয়ে সে তার টাকা উসুল করতে হ্যান্ডস বাড়ানোর তাগিদে ভুলে যাচ্ছে কী বন্ধুত্ব আর কী আত্মীয়তা 'দে জবাই! আমি যখন মরছি কাউরে বাঁচতে দিমু না।'.... ....এভাবে প্রতারিতের সংখ্যায় ভরে যাচ্ছে দেশ। যারা জয়েন করছে তারা কী করছে? এই বন্ধু ওই বন্ধু এই আত্মীয় ওই আত্মীয়র দ্বারে নানা কৌশলে হ্যান্ডস বাড়ানোর ফন্দি নিয়ে যায়, নিজের জন্য এটাই মনে করে পেশা। একটি বিশাল জনশক্তিকে বেকারত্ব থেকে মুক্ত করার নামে তাদের নামিয়ে দিয়েছে অনুৎপাদনশীল কাজে। নিজেদের গাড়িবাড়ি কয়েকটা বিল্ডিং ছাড়া কী করেছে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এই ডেসটিনি?
যে পথে আয় করেছে তেমনি ব্যায় ও করছে অনুৎপাদনশীল খাতে।
ডেসটিনি যেভাবেই অর্জণ করুক এখন তার টাকার পরিমাণ বিশাল, তারা চাইলে দেশের যে কোনও বড় কাজে ইনভেস্ট করতে পারতো। প্রতারণার রাস্তা ছেড়ে তারা পারত প্রোডাক্টিভিটির রাস্তায় পিরে আসতে। তা না করে ভারতীয় শিল্পীদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে দেশের মানুষের পকেট আবারও শূন্য করার এই কৃৎকৌশল রীতিমত দুর্ভাগ্যজনক।
অনুষ্ঠান কি ভালো হয়েছে? দর্শক কি পরিতৃপ্ত?
সশরীরে উপস্থিত দর্মকদের অবস্থা জানি না, তবে টেলিভিশন দর্শকরা চরম নাখোশ।
উপস্থাপিকার শেয়ালের মতো চিৎকার আর অসংলগ্ন ভাষার উপস্থাপনায় ভালো লাগার শিল্পীকেও ভালোভাবে নিতে পারেনি অনেকে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন