সেদিন একটা ফিল্ম দেখলাম; পা (paa’)
সেদিন একটা ফিল্ম দেখলাম; পা (paa’)
ফিল্মটায় এমন অসাধারণ কিছু কাজ আছে- এমন চমৎকার কিছু বক্তব্য আছে যা আপনাতেই ব্যক্ত হয়েছে-তারপর থেকেই আমার মনে হচ্ছে একজন ফিল্ম মেকারই পারে তার সব ইচ্ছা পূরণ করতে, তার না বলা সব কথা বলতে। পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষা নাকি ফিল্মমেকারের। .....
আমার মধ্যে এখন একধরনের দৃঢ় চেতনা কাজ করছে, আমাকে ফিল্মমেকার হতে হবে। নিজের সব চিন্তা-চেতনাকে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ফিল্মের ওপর কোনও ভাষা নেই।
প্রাথমিকভাবে একটা প্লট ঠিক করে রেখেছি। মেজর ডালিমের স্বীকারোক্তি। সম্প্রতি মেজর ডালিমের ওয়েবসাইট থেকে এমন কিছু তথ্য পেয়েছি যা থেকে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের বেশকিছু উল্লেখযোগ্য দিক জানা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি জানা গেছে ৭৫এর হত্যাকাণ্ডের পটভূমি সম্পর্কে। আওয়ামী লীগ যতো বাগাড়ম্বর করে তার সবটাই ৭১ নিয়ে কিন্তু ৭১এর পর তারা ক্ষমতায় এসে কী কী করেছেন তাদের সেসব অপশাসনের কোনও কিছুই জাতির সামনে আজ আর স্পষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ যতোটা সফল ঠিক ততোটাই ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। তারা সব জানা সত্ত্বেও সব তথ্য প্রমাণাদি থাকতেও আওয়ামী লীগের বড় বড় কথা’র কোনও জবাব দিতে পারে নি। এ ব্যর্থতা আজ জাতিকেই বহন করতে হচ্ছে।
ছবিটার শুরুটা হবে একটি বিয়ে বাড়ির ঘটনা দিয়ে। গাজী গোলাম মোস্তফা মেজর ডালিমদের অপহরণ করে নিয়ে যায়...এ ঘটনা থেকে। প্রেক্ষাপট থাকবে। বিয়ের জমজমাট আসর সেখানে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকের বদমায়েশী, ছোটখাটো ব্যাপার থেকে হুটকরে কতো বড়ো পরিস্থিতিতে মোড় নেয় সেটা দিয়ে। শুরু হবে। অপহরণের ভেতর দিয়েই দেখানো হবে মেজর ডালিমসহ গাজী গোলাম মোস্তফার হিংস্রতার শিকার অন্যান্য সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের অবদান- ফ্ল্যাশব্যাক। ছবির শেষটা হবে বঙ্গবন্ধুর হত্যা দিয়ে। সারাদেশের পাবলিক রিএকশন দিয়ে।
ছবিটা অবশ্যই মেজর ডালিম বেঁচে থাকতে শেষ করতে হবে। তাঁর প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রয়োজন হবে। আর যদি এর মধ্যে আল্লাহ না করুন তিনি মারা যান তাহলে ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার চেয়ে বেশি হতাশ কেউ হবে না। ছবিটা বানাতে আরও ৮ থেকে দশ বছর লাগবে এমন পরিকল্পনা আমার। এর মধ্যে আমাকে ফিল্মমেকিং এর সব কলাকৌশল আঙত্ত করতে হবে। যেন তেন প্রকারে আধাখেচরা কাজ আমি করতে চাই না। পরিকল্পিত পরিশীলিত পরিমিত পরিমার্জিত সুন্দর একটি ছবি বানাতে যতোরকমের ধৈর্য বিনিয়োগ করতে হয় করবো। পবিত্র রমজান মাসে মহান আল্লাহর কাছে আমার আকুল আবেদন আল্লাহ যেন আমার এ স্বপ্নটা পূরণ করেন। আর তিনি যেন বাচিয়েঁ রাখেন মেজর ডালিম কে। যেন কোনওভাবেই এই জালিম সরকার ডালিমদের ফাঁসী দিতে না পারে।
ছবিটি সফল হলে- এর সিক্যুয়াল তৈরি হবে পিলখানা ট্রাজেডি নিয়ে। ইনশাআল্লাহ।
সরকার ইতোমধ্যে মেজর ডালিমের সাইটটা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে তাতে কোনও লাভ হবে না। আমি আজই অন্যভাবে অন্য দেশ থেকে কারও মাধ্যমে সাইটে যা যা আছে তা ওপেন করে নিজের সাইটে নিয়ে আসবো। ইনশা আল্লাহ।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন