আজ থেকে এক হাজার শীতবসন্ত শেষে


আজ থেকে এক হাজার শীতবসন্ত শেষে
এই পথে যদি আসি আবার।
হয়ত পথের ধারে পাব
বারে বারে আমার শেশব
কৈশোর অমলিন পা
বোন মায়েল আছল
বধুর চোখের কাজল


হয়ত সন্ধ্যা এসে
প্রকৃতির আদেশে নিথর কৃষ্ণ নীল রঙ ছড়াবে

ফিরবো সেই পথেই আবার সঙ্গে সাতসাগর বাধার
হয়ত সব থাকবে সেই আগের মতোই পাবো কি দেখা রাজশ্রী তোমার!
সঙ্গে সেই স্মৃতিভার



মনটা  এখন বিক্ষিপ্ত। বিক্ষিপ্ত মনে কিছু করা যায় না। কী করবো সেটাই যখন স্থির নয় তখন কিছু করারতো প্রশ্নই আসে না। রুটলেস বা অনিকেত কিছু হয়ত করা যায় কিন্তু তাতে কি কোনও ফায়দা আছে। ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা চলছে, তাই শনিবারটা আজ বাসায় আছি। টেলিভিশনের অফডে আজ। গতরাতে ভেবে রেখেছিলাম আজ কী কী করবো...বিশেষ করে চলচ্চিত্র নির্মাণের পথে আরও কয়েক পা আগাবো এমনটিই ভেবেছিলাম। কিন্তু ভোররাতে একটা বিপত্তি ঘটেছে, যে কারণে সকালে আর ঘুম থেকে উঠতে পারিনি। রাতে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়েছি আর বলাই বাহুল্য বেশ দেরি করে ঘুমিয়েছি। যখন ঘুম ভাঙে তখন ৪টা চব্বিশ। সেহরি খেতে পারিনি। এদিকে সন্ধ্যা রাতেও হালকা খেয়েছি ভোর রাতের আশায়। এখন পেটের নাড়িভুরি পর্যন্ত হজম হয়ে যাচ্ছে। না খেয়ে থাকার অভ্যাস আছে কিন্তু হঠাৎ শিডিউল চেইঞ্জ হলে সেটা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে।
পেটে ক্ষুধা নিয়ে কোনও কাজ ভালো লাগে না।
রোমান্স পরাভূত হয়। বিজয়ী হয় ক্রোধ! এদিকে ছেলেটা ভীষণ জ্বালাচ্ছে। তার কথা -আমি কাজ করি?......তারপর ‌‌আমার মাউস বলে মাউসটার দখল নেয়া, কীবোর্ড টিপে সব ওলোটপালোট করা। আমার কম্পিউটার আমি কাজ করি।
এক লাইন লিখে তার জন্য ছেড়ে দিতে হয়। ফুসলিয়ে মায়ের কাছে পাঠিয়েছি, সেখানেও সে খুব কাজের লোক- আম্মু আমি শাক কুটি, তার মা তাকে চান্স দেয় না। আমি বলি ওকে একটা কিছু দিয়ে আটকাও।
পারবো না! তোমার আজ ছুটি তুমি সামলাও।
আমিতো এতক্ষণ সামলালাম। আমি না সামলালে তুমি ফালুদাটা তৈরি করতে পারতে?
খোটা দেয়ায় এবার সে বাবুকে ডাকে। আসো বাবা আমরা কাজ করি। এবং সে এখন মায়ের সাথে শাক কোটার কাজ করছে। দাঁড়ান ছবিটা তুলে রাখি।
বিদ্যুত চলে যাবে যে কোনও মুহূর্তে এ আশঙ্কায় বড় কোনও কাজে হাত দিতে পারছি না। ওরা যদি জানানোর ব্যবস্থা করতো যে কখন বিদ্যুত থাকবে কখন থাকবে না তাহলে কাজ করে কিছুটা শান্তি পেতাম। বরিশাল বিসিক শিল্পনগরীতে অনেক বলেকয়ে সিস্টেমটা চালু করা গেছে এখন সেখানে প্রতিমাসে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি থেকে বেঁচে যাচ্ছে উৎপাদকরা। নিউজটা আমি করেছি। আসলে সমস্যার সঙ্গে তালমিলিয়ে যতোটুকু চলা যায়। কিন্তু তাও চলা যায় যদি সরকার আন্তরিক হয়। বরং মনে হয় সরকারই ইচ্ছা করে লোডশেডিং এর ভোগান্তি করাচ্ছে জনগণকে যাতে ভারত থেকে বিদ্যুত আমদানী করতে আর কেউ বাধা না দেয়। মূলত ভারতের সঙ্গে কোনও চুক্তিতেই বাংলাদেশের মানুষ আর ভরসা পায় না। কারণ ভারত এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে দেয়া কোনও কথাই রাখেনি। তার চুক্তিগুলো সব একপক্ষীয়। তেত্রিশ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা থাকলেও পানি আসছে না এক ফোঁটাও। বিদ্যুতেও যে একই অবস্থা হবে না তার কী গ্যারান্টি আছে! কিছু লোক আছে তারা একধরনের চাঁদাবাজ। তারা কারও কাছ থেকে টাকা দাবি করে না বলে ভাই কিছু টাকা দেনতো, সোমবার নিয়েন কিন্তু এ টাকা সে আর ফেরৎ দেয় না। হাওলাত নিয়ে ফেরৎ না দেয়া এটা একটা স্টাইল। যদি কেউ ফেরৎ চায় এবং সে যদি অনেক কজ টজ দেখায় তাহলে হয়ত আরকেজনকে বলে দেবে মামা ওনারে কিছু টাকা দিয়ে দিয়েনতো...মানে ওটা আরেকজনের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে দেয়া। ভারতের আসল উদ্দেশ্য কিছু হাতিয়ে নেয়া, তা এমনিতেতো আর নেয়া যায় না, চুক্তির নামে নেয়া। আসলে তারাও জানে আমাদের সরকারও জানে এ চুক্তি একপক্ষীয়। এ চুক্তির কোনও কিছুই ভারত মানতে বাধ্য নয়। বড়র পিরীতি বালির বাধ। জোর করে যে নিচ্ছে না এতেই ধন্য এদেশের মন্ত্রী-আমলারা। অবশ্য ভারত থেকে বিদ্যুত নেয়ার পর কিছুটা উন্নতি দৃশ্যমান হবে। কারণ এখন যে পরিমাণ বিদ্যুত উৎপাদিত হয় তাতে এতো লোডশেডিং কোনওভাবেই হতে পারে না। কারণ এ সরকার নতুন সংযোগ বন্ধ রেখেছে আসার পর থেকেই। তত্ত্বাবধায়ক আমলেও সপ্তাহে একদিন লোডশেডিং হতো এখন কেন ঘণ্টায় ঘণ্টায়? অফিস আদালত বন্ধ থাকলে অর্থাৎ শুক্র-শনিবার লোডশেডিং কম হয়। শুক্রবার বলতে গেলে হয়ই না। যদি তাই হয় তাহলে রাতেতো অফিস-কাচারী বন্ধ থাকে রাতে এবং গভীর রাতে কেন এতো লোডশেডিং হয়? বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না। ছটফট করে। একবার ফ্লোরে আবার বিছানায় এরকম করে করেই রাত কাটে। একবার ঘামে একবার ঠাণ্ডায় প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা-বড়রাও। সরকার কি ভারতকে সুবিধা দেয়ার জন্য এভাবেই দেশের জনগণকে মেরে ফেলবে? সম্প্রতি সব স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকের ঈদের পর পরীক্ষা হওয়ার কথা। সারাবছর বিভিন্ন আন্দোলনে ছুটিছাটায় যাদের ক্লাস হয়নি তারা রমজানে কিছুটা পুষিয়ে নিয়ে পরীক্ষাটা শেষ করতে চেয়েছে তারা কতোটা পিছিয়ে গেলো? স্কুলগুলোতো পিছিয়ে পড়লো আরও কয়েকধাপ। বাচ্চারা অনায়াসেই ননএকাডেমিক হয়ে যাবে। এতোদিন লেখাপড়ার বাইরে থাকলে তাদরেকে সহসা আর পড়ামুখী করা যাবে না।  বিঘ্নিত হলো ধারাবাহিকতা। এর ফল ভোগ করতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। এভাবে একটি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে কী উন্নতি করতে চায় সরকার?

এসব আমরা ভাবি রুষ্ঠ হই কিন্তু করার কিছু নেই।
সরকার যা করার তা করবেই। হাসিনা সত্যিই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা। শেখমুজিবও যা করতে চাইতো করতো। গোঁয়ার ভাবটা ছিল। মোড়েলিপনার ইগোটাও ছিল অতিমাত্রায়।

দুপুর ১টা বিশ । বিদ্যুত যায়নি। জানলে কাজটা শেষ করা যেত।
একটা ছবির পরিকল্পনা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। গতকাল তার আরেকটা সিক্যুয়ালও পেলাম। মেজর জিয়ার হত্যাকাণ্ড। ৭৫এর হত্যাকাণ্ড- জিয়া ও জেনারেল মনজুর- পিলখানা-অতপর.....অরক্ষিত সীমানা। লড়াই ভারতের সাথে.....

জিয়াকে মারার প্ল্যান কারা করেছিল? তাদের পরিণতি কী হয়েছিল। কেন হত্যাকারীরা কারও সমর্থন পায়নি।  মনজুরের মৃত্যুই বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি। হুটকরে নেয়া একটা সিদ্ধান্ত...কর্নেল মতিউরের হঠকারিতা। অনুশোচনা....অসাধারণ গল্প! নির্মাণে ওস্তাদি দেখাতে হবে আর সেজন্য আগামী দশবছরে এর ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেবো। ইনশাআল্লাহ। আমি জানি ছবিটা বাংলাদেশ থেকে রিলিজ করা যাবে না। হয় ইন্ডিয়া থেকে করতে হবে নয়তো হলিউড থেকে। তেমন কিছু হলে নিশ্চই অন্য কোথাও থেকে রিলিজ করা যাবে। তবে দেশেই রিলিজ করার যতোরকমের চেষ্টা আছে করা হবে। আর সিক্যুয়ালের জন্য হয়ত ৫বছর করে অপেক্ষা করতে হবে। একটা টীম তৈরি করতে হবে। একার পক্ষে সম্ভব নয়।  একটা টীম থাকবে যারা সোর্স হিসেবে গন্য হবে। অর্থাৎ তাদের কাছে প্রকৃত ইতিহাস পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে কিছু বই কালেকশন করতে হবে। পড়তে হতে চেগুয়েভারা- ফিদেল ক্যাস্ট্রোর লাইফ স্টোরি-সংগ্রামী জীবন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ব্যবহারের অনুমতি নেই। সে ক্ষেত্রে নতুন অধ্যাদেশ পাশ করাতে হবে। নতুবা শ্যুটিং হবে ভারতে। ছবির আনুমানিক খরচ ২শ কোটি টাকা। মেজর ডালিমের রোল করবে সালমান খান আর জেনারেল জিয়ার রোল করবে অজয় দেবগন। মেজর নূর-অক্ষয় খান্না। কর্নেল রশিদ-জ্যাকিশ্রফ। বঙ্গবন্ধুর রোল করবে-


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.